পাহাড়ী দুই জেলা সহ সমতলে বৃষ্টির পূর্বাভাস বাড়াচ্ছে আশঙ্কা

জলপাইগুড়ি:- পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে হঠাৎ করে তিস্তা নদীতে প্লাবন, বিপন্ন কৃষি জমি সহ জনপদ, সেচ বিভাগের বাঁধ ভাঙ্গার আশঙ্কা।গত কয়েকদিনে পাহাড়ে অতিবৃষ্টির ফলে হটাৎ নদীর জলস্তর অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারনে তিস্তা নদীর গজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ এলাকা থেকে শুরু করে রাজাডাঙ্গা চ্যাংমারি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সেচ বিভাগের বাঁধে চাপ পরে ভেঙেছে। সেচ বিভাগের বাঁধের পশ্চিম দিকের বিস্তীর্ণ এলাকার চাষাবাদ বর্তমানে জলের তলায়। পাঞ্জাব বাঁধের ওপর জলের প্রচন্ড চাপ।

স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ এই বাঁধের কোন কারণে বড়সড় ক্ষতি হলে চ্যাংমারি, রাজাডাঙ্গা, চাপাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যেকোনো মুহূর্তে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রাক্তন প্রধান অনুকুল বিশ্বাস তিনি বলেন, এই মুহূর্তে বহু  জমি জলের তলায়, দ্রুত  সেচ বিভাগের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

ঘটনাস্থলে জলপাইগুড়ি সেচ বিভাগের কর্তারা উপস্থিত হয়ে এবং  বিষয়টির ওপর নজরদারি রাখছেন বলে সেচ বিভাগের কর্তা জানিয়েছেন। যদিও চ্যাংমারি রাজাডাঙ্গা এবং চাপাডাঙ্গা ইরিগেশন  বাঁধ সংলগ্ন লোকজনেরা আতঙ্কে  আছেন।অপরদিকে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে শনিবার থেকে সোমবার উত্তরের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টিপাত হবার সম্ভবনা রয়েছে। আর এতেই সিদুরে মেঘ দেখছে তিস্তা পাড়ের এই জনপদ।