শেষ কিছুদিন ধরে আথিক সংকটে ভুগছে শ্রীলঙ্কা। এই পরিস্থিতিতেই বদল হয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এর পরও বদলায়নি দেশের কোনো আর্থিক পরিস্থিতি। দিন প্রতিদিন আরো খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। অর্থনৈতিক সঙ্কট চরমে পৌঁছেছে শ্রীলঙ্কায়। বিগত ৭০ বছরে এত খারাপ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি সেখানে, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
জ্বালানি থেকে খাবার, সমস্ত কিছুই এখন সে দেশে আকাশ ছোঁয়া। পরিস্থিতি এমন দিকে এগিয়েছে যে জ্বালানি বাঁচানোর জন্য স্কুল-কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি অফিস গিয়ে কাজ করাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে শ্রীলঙ্কায়। শুরু হয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম।
এই মুহূর্তে গোটা দেশে জ্বালানির সঙ্কট দেখা দিয়েছে। মূলত কলম্বোতে সাধারণ মানুষকে টোকেন দেওয়া হচ্ছে যারা জ্বালানি কিনতে আসছেন। যদিও এখন জালানি নেইই দেশে। যখন আসবে তখন এই টোকেন দিয়ে কিনতে হবে। শয়ে শয়ে লোকের হাতে এই টোকেন, তারা আদতে দাঁড়িয়ে আছেন জ্বালানির লাইনে।
অবস্থা এতই খারাপ যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস বন্ধ রেখে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাধারণ খাবার, ওষুধের দাম আম জনতা দিয়ে উঠতে পারছে না। এমন অনেকেই আছেন যারা ৪ দিন বা ৬ দিন ধরে খেতে পাননি! আবার এমন কেউ আছেন যিনি পেট্রোল পাম্পে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে আছেন। মাত্র ৫ কিমি দূরে বাড়ি যাওয়ার জ্বালানিটুকু তার কাছে নেই।
ইতিমধ্যেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়েছে অফিসগুলিতে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আপাতত ১ সপ্তাহের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও অনুমান, তা এখনই আর খুলছে না। এদিকে পেট্রোল পাম্পগুলিতেও বাড়তে শুরু করেছে মানুষের লাইন। জানান হয়েছে, যানবাহন, বিদ্যুৎ এবং আপতকালীন পরিস্থিতির জন্যই আপাতত বেঁচে থাকা জ্বালানি ব্যবহার করা হবে।