মিডডে মিলের আর্থিক বরাদ্দ দেখে চারদিকে হাস্যকর পরিস্থিতি

শীত পড়ে গিয়েছে। অথচ, আনাজের দাম এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডাল, সয়াবিন, রান্নার মশলাপাতির দামও বেড়ে চলেছে। অথচ, পড়ুয়াদের মাথাপিছু মিডডে মিলের আর্থিক বরাদ্দ প্রাথমিক স্তরে ৮০ পয়সারও কম বাড়ানো হল। হাই স্কুল স্তরে পড়ুয়াদের মাথাপিছু বরাদ্দ বেড়েছে এক টাকার সামান্য বেশি। সত্যিই, এই বরাদ্দ বাড়ানোর পরিমাণ দেখে চারদিকে হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। স্কুলে স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকারা আরও বেশি করে চিন্তায় পড়েছেন।প্রতি কেজি আলু ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের মাথাপিছু বরাদ্দ এত কম ভাবা যায়?

এ বারে ভাবার সময় এসেছে। এক একটি ডিম বাজারে সাত টাকার নীচে মেলে না। আমাদের মতো বহু স্কুল প্রতিদিন মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাতে ডিম দিতে পারছে না। মাসে দু-তিন বারের বেশি মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের গোটা ডিম খাওয়ানো সম্ভব হচ্ছে না। ফলে, ডিমের ভুজিয়া দিয়েই পড়ুয়াদের মিডডে মিল খাওয়াতে হচ্ছে।

অনেক স্কুলে মিডডে মিলে কোনও মতে চাল-ডাল সেদ্ধ করে পড়ুয়াদের খাওয়ানো হচ্ছে। মোদ্দা কথা হল, এই বরাদ্দে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলে খাবারের মান কোনও ভাবেই বাড়ানো সম্ভব নয়। এমনকি, মিড ডে মিলের বকেয়া খরচও বাড়তি বরাদ্দ টাকায় মেটানো সম্ভব হবে না। তবে, প্রশাসন বাজারে আনাজ, ডিম, ভোজ্য তেল, চাল, ডাল-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে, মিড ডে মিলের খরচের রাশ অনেকটাই টানা সম্ভব হবে। বর্তমানে বাজারে আনাজ-সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী ও রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম যে পরিমাণে বেড়েছে, তাতে পড়ুয়াদের মাথাপিছু প্রাথমিক স্তরে মিড ডে মিল চালাতে কমপক্ষে ১০ টাকা ও হাই স্কুল স্তরে ২০ টাকা বাড়ানো জরুরি।