বিস্কুট কিনতে গিয়ে শিশু নিখোঁজ রহস্যের কিনারা হল ৫২ ঘণ্টা পর। প্রতিবেশী বাড়ির ছাদ থেকে উদ্ধার হল ৪ বছরের শিশুর নিথর দেহ। মৃতের নাম শুভম ঠাকুর। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের শান্তিনিকেতনের মোলডাঙা গ্রামে। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এলাকায় মোতায়েন বিশাল পুলিসবাহিনী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন ওই শিশুটিকে আগেই উদ্ধার করা সম্ভব হল না? প্রশ্ন তুলেছে ওই শিশুর পরিবার। প্রতিবেশী রুবি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, বিস্কুট কেনার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বছর চারেকের ওই শিশু। তারপরই নিখোঁজ হয়ে যায় সে। নিখোঁজ ওই শিশুর খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। পুলিস কুকুর এনেও তল্লাশি করা হয়। কিন্তু কোথাও ওই শিশুর কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপরই আজ ওই শিশুর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ৫২ ঘণ্টা পর দেহ উদ্ধার হয়েছে প্রতিবেশী বাড়ির ছাদ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের দিকেই উঠেছে অভিযোগের আঙুল। পরিবারের অভিযোগ, ওই প্রতিবেশীরাই অপহরণ করে ছোট্ট শুভমকে। রাস্তা থেকে অপহরণ করা হয় ৪ বছরের ওই শিশুকে। অপহরণের পরই খুন করা হয়েছে। যদিও, মুক্তিপণ বা টাকা চেয়ে কোনও ফোন আসেনি। শত্রুতার জেরেই খুন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ছাত্র ছিল ৪ বছরের শিবম ঠাকুর। ৫২ ঘণ্টা আগে সকাল ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয় শিবম। বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে গ্রামেরই মুদিখানা দোকানে যায়। সময়মতো বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোক খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু খোঁজ না পেতেই উত্তেজনা ছড়ায় গ্রামে। খবর দেওয়া হয় শান্তিনিকেতন থানায়। শান্তিনিকেতন থানার ওসি পার্থ কুমার ঘোষের নেতৃত্বে পুলিস আসে। গ্রাম জুড়ে ও আশপাশে তল্লাশি শুরু হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। কিন্তু তার কোনও খোঁজ পায়নি পুলিস। এরপরই এদিন প্রতিবেশীর বাড়ির ছাদে মিলল ৪ বছরের শিবম ঠাকুরের দেহ। এই ঘটনায় প্রতিবেশী রুবি খাতুনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে মাস ছয়েক আগে পারিবারিক বিবাদের সূত্রপাত বলে জানা যাচ্ছে।