রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে প্রাথমিকের নিয়োগের ইন্টারভিউ শুরু। কিন্তু তার আগে মামলার জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। শেষ মুহূর্তে প্যারা টিচার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউর উপর স্থগিতাদেশ নয়। সাফ জানাল ডিভিশন বেঞ্চ।
কলকাতা হাইকোর্টের ভিন্ন ভিন্ন নির্দেশের পর অবশেষে হয়েছে টেট। এদিন শুরু হল প্রাথমিকে নিয়োগের প্রথম পর্যায়ের ইন্টারভিউ । তবে এই কাজ করতে আগের থেকে অনেক বেশি তৎপরতা দেখাচ্ছে পর্ষদ। টেবিলে সিসি ক্যামেরা বসানো হয় যাতে প্রতি মুহূর্তের আপডেট তাঁদের কাছে থাকে। এক কথায়, চূড়ান্ত স্বচ্ছতায় জোর দিয়েছে তাঁরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ চলতি মাসেই প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের নোটিফিকেশন জারি করেছিল।
যাদের ইন্টারভিউ শুরু হয়েছে তারা কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই ২০১২, ২০১৪, ২০১৭-র নোটিফিকেশন দেওয়ার পর আবারও রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ পেয়েছিলেন। মঙ্গলবার এই ইন্টারভিউতে মোট পাঁচটি টেবিলে তিনজন করে বিশেষজ্ঞ বসিয়ে এবং প্রতিটি টেবিলের মাথায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়।
অন্যদিকে প্যারা টিচার নিয়োগের ক্ষেত্রে ইন্টারভিউর ওপর স্থগিতাদেশ নয়, সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত৷ তবে তাঁদের নিয়োগের ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে মূল মামলার রায়ের উপরই। সাফ জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। গত ২১ নভেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, প্রাইমারি আপার প্রাইমারি প্যারা টিচারদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ থাকবে না৷