সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে নতুন করে গঠন করা হয়েছে শিক্ষানীতি৷ শিক্ষানীতির পর এবার বদল করা হলো শিক্ষা কমিটিতে৷ রাজ্য সরকারের স্কুল শিক্ষায় বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ব্যাপক রদ বদল৷ পুরনো কমিটি ভেঙে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু৷ নতুন কমিটির মেয়াদ থাকবে এক বছর৷ প্রতিটি বিষয়ে আনা হয়েছে একজন মেন্টর৷ নতুন কমিটি থেকে বাদ গেলেন পুরনো কমিটির একাধিক সদস্য৷
২০১১ সালে তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্কুল শিক্ষায় একটা বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরি করে৷ সেই বিশেষজ্ঞ কমিটি এখনও পর্যন্ত চলছিল৷ ব্রাত্য বসু ফের শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার পর বিশেষজ্ঞ কমিটিতে ব্যাপক রদবদল আনা হল৷ সম্প্রতি এই সংক্রান্ত একটি অর্ডার বার করা হয়েছে৷ পুরনো কমিটি কার্যত ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ নতুন কমিটিতে আটটি বিষয়ে আটজনকে মেন্টর হিসাবে আনা হয়েছে৷ এই কমিটিতে এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা, সেন্ট জেভিয়ার্স, কলকাতা বিশ্ববিদ্যাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালের অধ্যাকরা রয়েছেন৷ পুরনো কমিটির একাধিক ব্যক্তিকে বাদ দেওয়া হয়েছে৷ ব্রাত্য বসুর আসনে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হলেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে এই কমিটি ধারাবাহিক ভাবে কাজ করেছে৷ সেই কমিটিরই ব্যাপক রদবদল ঘটানো হল৷
সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, তাতে সাফ বলা হয়েছে, নতুন কমিটির মেয়াদ হবে এক বছর৷ পাশাপাশি কারা মেন্টর হিসাবে থাকবেন তার বিস্তারিত তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে৷ শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর ছিল, কেন্দ্রীয় শিক্ষানীতি গ্রহণ করার বদলে নিজস্ব শিক্ষানীতি তৈরি করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই নীতি নির্ধারণ করতেও দশ সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কোন কোন বিষয়ের উপর নজর রেখে এই শিক্ষানীতি তৈরি করা হবে তা-ও বলে শিক্ষা দফতরের নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যের পড়ুয়া তথা শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক স্বার্থ যেন রক্ষা পায়, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে৷ এই নির্দেশিকা প্রকাশের দু’মাসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।