মুখ্যমন্ত্রী ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্যে এলেন অর্থনীতিবিদ

আর কিছু মাসের মধ্যেই করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক রাজ্য জুড়ে। এর মাঝেই আসন্ন নতুন আতঙ্ক। ইতিমধ্যেই আসন্ন পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে জরুরি বৈঠক রাজ্যের গ্লোবাল অ্যাডভাইজরি বোর্ডের। এই বৈঠক ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে, শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সুদূর আমেরিকা থেকে ছুটে এলেন এই বোর্ডেরই গুরুত্বপূর্ণ সদস্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয় ঢেউ রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বা কী পরিকল্পনা রয়েছে, তার একটা ইঙ্গিত মিলল আজ। করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে আর মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারের বৈঠকে তিনি সশরীরে উপস্থিত রইলেন নবান্নে।

অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তৃতীয় ঢেউ নিয়ে অযথা ভয় পেলে চলবে না, অসুস্থ বোধ করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি রাজ্যের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেনও রয়েছে, গ্রামে গ্রামে আশা কর্মী, চিকিৎসকরা রয়েছেন। তাই সচেতন হলেই এই আশঙ্কা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। যদিও, ‘প্রতিশ্রুতিমতো টিকার পরিমাণ জোগাতে পারছে না কেন্দ্র। পর্যাপ্ত টিকা নেই দেশে।’ এমন মন্তব্য করতে শোনা যায় নোবেল জয়ী বাঙালিকে। অর্থাৎ তিনিও টিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই আঙুল তুললেন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতি বেশ আশাব্যঞ্জক। দু, একটি জেলা বাদে সর্বত্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দৈনিক সংক্রমণ, মৃত্যুর হার অনেকটা কম, বাড়ছে পজিটিভিটি রেট।

টিকা ইস্যু নিয়ে এদিকন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি বলেন, গুজরাতে জনসংখ্যা বাংলার প্রায় অর্ধেক, অথচ ওরা বেশি টিকা পেয়েছে। সব রাজ্য টিকা পাক, কিন্তু যেন কোনও বৈষম্য না হয়। টিকা না থাকলে একসঙ্গে ১০ হাজার লোক এলে কী ভাবে টিকা দেব? প্রশ্ন তোলেন তিনি। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রের এক তথ্যেই প্রকাশ পেয়েছিল যে, বাংলা অন্যান্য রাজ্যের মত টিকা পাচ্ছে না। তৃণমূল সরকার যে অভিযোগ করছিল তাই কার্যত প্রমাণিত হয়েছিল। আজ আবার সেই ইস্যুতেই মুখ খুললেন মমতা।