রাজ্যে আরো একবার বিপুল নগদ টাকার উদ্ধার হয়৷ দিন কয়েক আগে বিপুল টাকা সহ ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ককে হাওড়া থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ৷ তাঁদের কাছ থেকে ৪৯ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়৷ ঝাড়খণ্ডের বহিষ্কৃত তিন কংগ্রেস বিধায়ক গ্রেফতার হয়েছেন।
তারাই সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বুধবার। এদিন এই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার নিজেদের যুক্তি খাঁড়া করল। আদালতে বলা হয়েছে, বিধায়কদের পক্ষ থেকে যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
এছাড়াও সরকার আদালতে জানায়, একজন অভিযুক্ত কখনই কোন তদন্তকারী দলকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হবে তার প্রেক্ষিতে আবেদন করতে পারেন না। এই মামলার শুনানিতে রাজ্য জানায়, প্রাথমিক তদন্তে প্রক্রিয়া চলছে।
এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারী সংস্থা পরিবর্তন করলে তদন্তের গতিপ্রকৃতি পাল্টে যেতে পারে। রাজ্য এও মনে করিয়ে দেয়, বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সঞ্চালক অর্ণব গোস্বামী মামলায় তিনি অন্য সংস্থা দিয়ে তদন্তের আবেদন জানিয়েছিলেন কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
তাঁরা আরও জানিয়েছে, অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ঝাড়খণ্ডে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কিন্ত সেটাতে এ রাজ্যে গ্রেফতারের পরে। আসলে অভিযুক্ত বিধায়কদের কাছ থেকে নগত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা জানিয়েছেন এ রাজ্যে তাঁরা কাপড় জামা কিনতে এসেছিলেন।
কিন্ত টাকাটা সম্পর্কে সঠিক তথ্য তাঁরা পুলিশের কাছে দিতে পারেনি। এও জানিয়েছে রাজ্য। সব শুনে হাইকোর্ট স্পষ্ট রায়ে জানিয়েছে, রাজ্যের তদন্তকারী সংস্থাই তদন্ত চালিয়ে যাবে। অর্থাৎ কংগ্রেস বিধায়কদের আর্জি খারিজ করা হয়েছে। নির্দেশ নিয়েছেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, এই মুহূর্তে হাইকোর্ট কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।
প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেসের বিধায়ককে টাকা সমেত গ্রেফতার করে পাঁচলা থানা পুলিশ আধিকারিকরা। ১২০ বি, ৪২০, ১৭১ ই এইব ধারায় অভিযোগে তদন্ত শুরু করা হয়। ঝাড়খণ্ডের তিন বিধায়কদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাঁরা ৪৮ লক্ষ টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন।