বাঁধা পরলো দেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স পরিবর্তনের প্রস্তাবে

সাধু উদ্যোগ কেন্দ্রের তরফে৷ সদ্য মাত্রই কেন্দ্র সরকারের তরফে দেশের মেয়েদের স্বার্থে এক বড় ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বাড়ানো হয়েছিল দেশের মেয়েদের বিয়ের বয়স। এখন সেই মেয়েদের বিয়ের বয়স বৃদ্ধি নিয়ে এখন আপাতত দ্বিধাগ্রস্থ কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোর প্রতিশ্রুটি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ প্রতিশ্রুতি মাফিক দিন কয়েক আগেই মেয়েদের বিয়ের বয়স  ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাবনা পাশ করা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায়৷ শীতকালীন অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিলটি পাশ করিয়ে নেওয়ার ইচ্ছা ছিল মোদী সরকারের৷ কিন্তু কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সোচ্চার হয় সিপিএম, কংগ্রেসের মতো একাধিক বিরোধী দল৷ তাই আপাতত এই বিষয়ে ‘ধীরে চলো নীতি’ নিয়েছে কেন্দ্র৷ সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে ‘প্রহিবিশন অফ চাইল্ড ম্যারেজ (সংশোধনী) বিল, ২০২১’৷

কেন্দ্রের যুক্তি লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতেই এই বিল আনা হয়েছে৷ মেয়েরাও যাতে তাঁদের প্রতিভা বিকশিত করার সমান সুযোগ পায়, সেটা দেখাই কেন্দ্রের লক্ষ্য৷  গতকাল মঙ্গলবার লোকসভায় এই বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয়  নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি৷ কিন্তু বিলটি পেশ হতেই হইচই শুরু করে কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধীরা৷ তাঁরা এই বিলের তীব্র বিরোধিতা জানায়৷ তাঁদের বক্তব্য, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ বিলটির খুঁটিনাটি নিয়ে বিবেচনা করার প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি তোলে বিরোধীরা৷ এর পরেই সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে বিবেচনার জন্যং বিলটি পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ৷ 

বিপুল জনাদেশ নিয়ে দ্বিতীয়বার কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার৷ সংসদে বিল পাশ করার ক্ষেত্রে কোনও দিনই বিরোধীদের বিশেষ তোয়াক্কা করেনি তারা৷ এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের৷ এর আগে তুমুল হই-হট্টোগোলের মধ্যে পাশ করা হয়েছিল বিতর্কিত কৃষি বিল৷ চলতি অধিবেশনেও সেই ধারা অব্যাহত ছিল৷ কিন্তু মেয়েদের বিয়ের বয়স ন্যূনতম বয়স বৃদ্ধি বিলটি নিয়ে আগ্রাসী মনোভাব দেখাল না কেন্দ্র৷ বরং তা বিবেচনার জন্য পাঠানো হল সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে৷ যা অনেককেই অবাক করেছে৷