প্রকাশিত হয়েছে বিধানসভার ফলাফল। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হচ্ছে এবং আপাতত যা বোঝা যাচ্ছে তাতে চার রাজ্যেই ক্ষমতায় আসছে বিজেপি। অন্যদিকে, প্রত্যেক রাজ্যেই যে ভরাডুবি হতে চলেছে কংগ্রেসের সেরকম ইঙ্গিতও মিলছে। এই সুযোগে আবার রাহুল বাহিনীকে কটাক্ষ করল তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, কংগ্রেসের উচিত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়া। জাতীয় নিরিখে যেভাবে ভরাডুবি হচ্ছে তারা তা লজ্জাজনক।
উত্তরপ্রদেশে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। গোরক্ষপুরে নিজের কেন্দ্রে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোয়ায় এগিয়ে রয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রমোদ সবন্ত। মণিপুর, উত্তরাখণ্ডেও সবার থেকে এগিয়ে গেরুয়া বাহিনী। শুধুমাত্র পঞ্জাবে ব্যাপক নজর কাড়ছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। কিন্তু সেইভাবে কোথাও চর্চায় দেখা যায়নি কংগ্রেসকে। শেষ তথ্য বলছে, পঞ্জাবে আপাতত ২৩ আসনে এগিয়ে রয়েছে আম আদমি পার্টি। ১৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। পঞ্জাবে এগিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিংহ চন্নি। চামকৌর সাহেব কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন এই কংগ্রেস প্রার্থী। অন্য দিকে, আপাতত পিছিয়ে রয়েছেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং।
এদিকে গোয়া নিয়ে অন্য চিন্তায় রয়েছে কংগ্রেস। বিধায়ক কেনা-বেচা হতেই পারে বলে আশঙ্কা। এইভাবে এর আগে একাধিক রাজ্যে সরকার পড়তে দেখা গিয়েছে। গোয়া নিয়ে সেই ভয়টাই পাচ্ছে কংগ্রেস। কর্ণাটক, মদ্যপ্রদেশ তাদের এভাবেই হাতছাড়া হয়েছিল। তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমবার এই রাজ্যে ভোটে লড়েছে। একাধিক জনপ্রিয় নাম রয়েছে তাদের সঙ্গে। তাই অনেকেই মনে করছেন যে, গোয়াতে ‘কিং মেকার’ হতে পারে তৃণমূল এবং তার সঙ্গে থাকছে মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি।