নালিশ গেলো রাজ্যপালের বিরুদ্ধে

রাজ্য সরকারের সাথে রাজ্যপালের দ্বন্ধ বরাবরের। এই মুহূর্তে সেই দ্বন্ধ পৌঁছেছে চরম পর্যায়ে। সংসদীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বাংলার রাজ্যপালকে অপসারণ করুন৷ বাজেট ভাষণ শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে এমনই আর্জি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বিরুদ্ধে আবার প্রত্যক্ষভাবে সরব হয়েছে বাংলার শাসক দল। সম্প্রতি রাজ্যের সঙ্গে তাঁর সংঘাত আরও চূড়ান্ত আকার ধারণ করেছে। সেই প্রেক্ষিতেই জাতীয় স্তরে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী তৃণমূল। সেই একই কারণে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে তাঁর নামে ‘নালিশ’ জানালেন আরও এক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। কিন্তু তিনি ইঙ্গিতপূর্ণ উত্তর পেয়েছেন।

লোকসভায় অধিবেশন মুলতুবি হওয়ার পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়কে সরাতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি আর্জি জানিয়ে বলেন, জগদীপ ধনখড় নির্বাচিত সরকারকে বিরক্ত করছেন, ওনাকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল পদ থেকে যেন সরানো হয়। সৌগতর এই কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী মোদী যা উত্তর দিয়েছেন তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ। তিনি তাঁকে বলেছেন, ‘অবসর নিলেই হবে।’ রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে যখন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন তখন তিনি তাঁকে সেইভাবে কোনও উত্তর দেননি। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সৌগতকে দিয়েছেন। আর এতেই ধন্ধ তৈরি হয়েছে। সৌগত বুঝতে পারছেন না যে, মোদী মজার ছলে আসতে কথাটা বলেছেন নাকি সত্যিই অবসরের কথা বলেছেন। এখন অবসর বলতে কী তাঁর অবসরের পর রাজ্যপালকে সরিয়ে তাঁকেই রাজ্যপাল করার ইঙ্গিত দিলেন প্রধানমন্ত্রী, নাকি খোদ রাজ্যপালের অবসরের কথা বললেন, তা স্পষ্ট করতে পারছেন না তৃণমূল সাংসদ।

উল্লেখ্য বিষয় হল, রাজ্যপালদের নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি এবং তাঁদের বদলিও হয় রাষ্ট্রপতি ভবন থেকেই৷ এর আগে তৃণমূলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল রাজ্যসভায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একটা প্রস্তাব আনা হবে৷ কিন্তু তার আগেই বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনে রাষ্ট্রপতির কাছে রাজ্যপালের অপসারণের আর্জি জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাষ্ট্রপতি হেসে তাঁকে কিছু জবাব দেন এবং তার পর সেখান থেকে হেঁটে অন্যদিকে চলে যান৷ কিন্তু সৌগতকে নরেন্দ্র মোদী যা বললেন তা নতুন জল্পনা সৃষ্টি করল।