রাজ্যে অশান্তির সৃষ্টি হচ্ছে বন্ধের বাজারে

আজ এবং আগামীকাল চলছে বন্ধের রেশ৷ মোদী সরকারের একাধিক নীতির বিরোধীতায করে দেশজুড়ে দু’দিন ব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাম-কংগ্রেস সহ ট্রেড ইউনিয়নগুলি৷ সোমবার ধর্মঘটের প্রথম দিন৷ সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় ধনধের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে৷ পথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন বাম সমর্থকরা৷ সকাল থেকেই বিচ্ছিন্ন অশান্তির খবর মিলছে৷ ব্যাহত শিয়ালদহ শাখার ট্রেন চলাচল৷ শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখা লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনের দক্ষিণ বারাসত ও হোগলা স্টেশনের মাঝখানে বানেশ্বরপুর এলাকায় আপ এবং ডাউন লাইনে রেল অবরোধ৷ এদিকে, রবিবার ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকার পর সোম ও মঙ্গলবার ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় প্রভাব পড়তে পারে এটিএম পরিষেবায়৷ 

কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি ডাকা ৪৮ ঘণ্টার ভারত বনধের জেরে এদিন সকালে চুঁচুড়া বাস টার্মিনাল থেকে গড়াল না বাসের চাকা৷ সকালেই ধর্মঘটের সমর্থনে পিকেটিং হয়। ফলে বাস-ট্রেকার কিছুই রাস্তায় নামতে পারেনি। তবে রাস্তায় কিছু অটো-টোটোর দেখা মিলেছে৷

এদিকে, আজ সকালে জয়নগর থানার দক্ষিণ বারাসত গ্রাম-পঞ্চায়েতের পদ্ধেরহাট এলাকায় জয়নগর-বারুইপুর সংযোগকারী কুলপি রোড অবরোধ করেন বামকর্মী ও সমর্থকরা। দলীয় পতাকা হাতে রাস্তায় বেঞ্চ পেতে বসে পড়েন তাঁরা৷ যার জেরে কুলপি রোড তথা ১ নম্বর রাজ্য সড়কে ব্যহত যান চলাচল৷

ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে নিউটাউনেও৷ সোমবার সকালে নিউটাউন গৌরাঙ্গনগর এলাকায় মিছিল করে বাম কর্মী-সমর্থকরা৷ সিপিএম নেতা পরিমল মিস্ত্রির নেতৃত্বে ঢালাই ব্রিজ মোড়ে রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি ওই এলাকায় টায়ারে জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। পরে নিউটাউন থানার পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে দেয়৷  

এদিন যাদবপুরের ৮ বি বাসস্ট্যান্ডে এদিন সকালে বিক্ষোভ দেখান বাম কর্মী-সমর্থকরা। যাদবপুর স্টেশনে রেললাইনে বসে পড়েন তাঁরা। ব্যানার হাতে ট্রেনের প্যান্টোগ্রাফের উপরেও তাঁরা উঠে পড়েন৷ যার জেরে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে ট্রেন৷ যাদবপুরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তিও হয়৷

একই ছবি দেখা গিয়েছে হাওড়ার ডোমজুড় আর উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘড়িয়া স্টেশনে। সেখানেও রেল লাইন অবরোধ করেন বামপন্থী বন্‌ধ সমর্থকরা। ফলে অফিস টাইমে প্রবল সমস্যায় পড়েন যাত্রীরা৷ ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাঁদের৷  এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছে রেল এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের শ্রমিকরাও। কয়লা, ইস্পাত, তেল, টেলিকম, পোস্টাল, আয়কর, তামা, এবং বিমা ক্ষেত্রের কর্মীরাও জানিয়েছেন তাঁরাও এই ধর্মঘটকে সমর্থন জানাচ্ছেন৷ যৌথ ফোরামের দাবি, কর্মীদের সঞ্চয়ের উপর কোপ বলাতে চাইছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডে (ইপিএফ) সুদের হার ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণ, কেরোসিন, পেট্রল, ডিজেল, গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করে মধ্যবিত্তর জীবনে প্রভাব ফেলছে৷