দেখতে দেখতে ধংসস্তূপ পরিণত হলো একটা গোটা শহর৷ রুশ আগ্রাসনে কিয়েভ যেন মৃত্যুপুরী৷ চারিদিকে শুধুই ধ্বংসস্তূপ৷ কিয়েভ থেকে পুতিন বাহিনী পিছু হটতেই গোটা রাজধানী পুনর্দখল নিয়েছে ইউক্রেন সেনা। কিন্তু কিয়েভের পরিস্থিতি রীতিমতো শোচনীয়৷ শহরে ঢুকলেই নাক ঝলসে যাচ্ছে পচা গন্ধে৷ চারিদিকে শুধুই মৃতদেহর স্তূপ৷ রবিবার কিয়েভের প্রসিকিউটর জেনারেল ইরানা ভেনেদিরটোভা জানান, গোটা কিয়েভের দখল নেওয়া হয়েছে৷ এখনও পর্যন্ত শহর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৪১০টি মৃতদেহ৷ নিহতরা সকলেই ইউক্রেনের সাধারণ নাগরিক৷
ইউক্রেনের জাতীয় টেলিভিশনে বক্তব্য রাখার সময় ইরানা ভেনেদিরটোভা বলেন, “আমরা রাজধানী কিয়েভের স্বাধীন অঞ্চলগুলি থেকে এখনও পর্যন্ত ৪১০ টি দেহ উদ্ধার করেছি। ফরেন্সিক এক্সপার্টদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এসে দেহগুলি পরীক্ষা করে দেখছেন।”
কীভাবে এত সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হল, সে সম্পর্কে নিশ্চিতভাবে কিছু জানানো না হলেও, ইউক্রেন প্রশাসনের দাবি, শহর ছাড়ার সময় ইচ্ছাকৃতভাবেই হত্যালীলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। দিন কয়েক আগে রাজধানী কিয়েভ থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বুচা শহর থেকে ২০টি দেহ উদ্ধার করা হয়। রাস্তার মধ্যে যে ভাবে মৃতদেহগুলি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে ছিল, তা দেখার পর হত্যালীলা চালানো হয়েছে বলে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। কিয়েভ থেকে সারি সারি দেহ উদ্ধারের পর সেই সন্দেহকেই আরও তীব্র হয়েছে।
ইউক্রেন সেনার দাবি, বুচা, ইরপিনের মতো শহরে গণহত্যা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শুধুমাত্র ইরপিন থেকে কমপক্ষে ২০০টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সেনা সূত্রে খবর, একের পর এক শহরের দখল নিতেই সেখান থেকে উদ্ধার হচ্ছে সারি সারি মৃতদেহর স্তপ। নিহতরা সকলেই সাধারণ পোশাকে ছিলেন৷ তাঁরা দেশের সাধারণ নাগরিক৷ আবার অনেক মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায়৷ উদ্ধার হওয়া অনেক দেহই এখনও কবর দেওয়া সম্ভব হয়নি৷ যদিও রাশিয়ার দাবি, কোনও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করা হয়নি৷