এই মুহূর্তে রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কাণ্ডে তাঁর সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। রাজ্যজুড়ে আলোচনা তুঙ্গে। এই আবহে নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগামী মাসেই চার দিনের সফরে দিল্লি যাচ্ছেন।
অগাস্ট মাসের ৪ তারিখ কলকাতা থেকে দুপুরের বিমানে তিনি দিল্লি পৌছবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পৌরহিত্যে প্রস্তাবিত এই বৈঠকে তিনি যোগ দেবেন বলেই খবর।
তবে এবার দিল্লি সফরে গিয়ে শুধু এই বৈঠকেই যে তিনি যোগ দেবেন এমনটা নয়। নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তিনি আলাদাভাবে দেখা করতে পারেন বলে অনুমান।
রাজ্যের বিভিন্ন দাবি দাওয়া জানাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী বলে ইঙ্গিত মিলছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দিল্লি সফরের মধ্যেই অর্থাৎ ৬ অগাষ্ট উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তবে তাঁর দল এতে ভোটদান থেকে বিরত থাকবে বলে আগেই জানিয়েছিল।
কিন্তু ভোট না দিলেও মুখ্যমন্ত্রী তাঁর দলীয় সাংসদদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন, এমনটাও জানা গিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছিল, বিরোধীরা তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই প্রার্থী নির্বাচন করেছে। তাই ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে তাঁরা।
যদিও এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন খোদ বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী মারগারেট আলভা। টুইট করে লেখেন, ”উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান থেকে তৃণমূলের বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। এটা তর্ক করা বা ইগো দেখানো এবং রাগ করার সময় নয়। এটা সাহস, নেতৃত্ব এবং একতা দেখানোর সময়। আমি বিশ্বাস করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি সাহসিকতার প্রতীক, তিনি বিরোধীদের সঙ্গে থাকবেন।”