সমস্ত বিভেদ ভুলে বুধবার বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবং সম্মেলনের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, বাংলার উচিত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে, উন্নয়নের কথা ভেবে কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এতেই বাংলার ভাল হবে। সেসময় মুখ্যমন্ত্রী চুপ থাকলেও সম্মেলনের শেষে রাজ্যপালকে এর পাল্টা জবাব দিয়ে মমতা জানান, সমস্ত শিল্পপতিদের তরফে রাজ্যপালের কাছে আমার একটিই অনুরোধ। ওঁরা (শিল্পপতিরা) মুখ খুলতে পারবেন না। আমরাও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য পেতে চাই। তবে শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় সংস্থা মারফৎ কোনওরকম হেনস্থা না করা হয়। রাজ্যপালও যেন বিষয়টি কেন্দ্রের কানে পৌঁছে দেন।
এদিকে মমতার এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলের একাংশ জানাচ্ছে, রাজ্যে বিনিয়োগ আসার মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ‘কেন্দ্রীয় সরকার’ কেন্দ্রীয় সংস্থার সাহায্যে প্রতিকূলতা তৈরি করতে পারে বলেই এহেন মন্তব্য করেছেন মমতা। কারন অতীতে দেখা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের তৃণমূলের জয়ের পর মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল ইডি। তাই রাজ্যপাল কেন্দ্রের সাহায্যের কথা বললেও এদিন কেন্দ্রের হেনস্থার কথা ভুলতে দেখা যায়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখে-মুখে।