করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ওঠার আগেই চারিদিকে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়েছিল গোটা দেশ। দ্বিতীয় ঢেউ থেকে শিক্ষা নিয়ে সব রকম ভাবে তৈরি থাকতে চায় কেন্দ্র সরকার। তাই টিকাকরণকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে রোজ দেশের এক কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে চলতি মাসে ২০ কোটি ও সেপ্টেম্বরে ২৫-৩০ কোটি টিকা রাজ্যগুলিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ দেশে সারা দিনে ৫০.২৯ লক্ষ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে টিকার জোগান বাড়াতে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের অব্যবহৃত টিকা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রের দাবি, সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড প্রতিষেধক স্বাভাবিক হারে উৎপাদিত হচ্ছে। ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধক কোভ্যাক্সিন উৎপাদনে সাময়িক কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেই সমস্যা কাটিয়ে চলতি মাস থেকেই কোভ্যাক্সিনের জোগান বাড়তে চলেছে। এ ছাড়া আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ভারতীয় বাজারে জ়াইডাস ক্যাডিলা, বায়োলজিক্যাল-ই, নোভাভ্যাক্স, জেনোভা— এই চার সংস্থার প্রতিষেধক আসতে চলেছে। ফলে বাজারের সাময়িক ঘাটতি মিটিয়ে টিকাকরণের হার বাড়ানো সম্ভব হবে। সরকারের দাবি, ওই হারে টিকাকরণ হলে ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ককে টিকাকরণের আওতায় নিয়ে আসা যাবে। কেন্দ্র আশাবাদী, আগামী ১৫ অগস্টের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্সিনকে চূড়ান্ত ছাড়পত্র দিয়ে দেবে।