রাইস মিলে হানা সিবিআইয়ের, বহু টালবাহানার পর অবশেষে ঢুকলেন অফিসারা

এই মুহূর্তে রাজ্যে গরুপাচার কাণ্ডে সিবিআই তৎপরতা তুঙ্গে৷ ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা৷ শুক্রবার সকালে ফের বোলপুরে হানা দিল সিবিআই আধিকারিকদের একটি দল।

এ বার কেষ্ট ঘনিষ্ঠের রাইস মিলে পৌঁছে গেলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। কিন্তু, মিলের দরজার তালা খোলা নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। পরে অবশ্য মিলে ঢোকেন আধিকারিকরা৷ শুরু হয় নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ।

এদিন সকালে বোলপুরে ভোলে ব্যোম নামে একটি রাইস মিলে হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, এই ভোলে ব্যোম মিলেরই মালিকানা রয়েছে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে এবং স্ত্রীর নামে।

এদিন মিলে হানা দিতেই বাধার মুখে পড়তে হয় সিবিআই আধিকারিকদের। তাঁদের মিলের ভিতর ঢুকতে বাধা দেন নিরাপত্তারক্ষীরা৷ এদিন সিবিআই আধিকারিকরা গিয়ে প্রথমে দেখেন মিলের গেটে তালা ঝুলছে।

ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খুলতে চাননি৷ উল্টে এক নিরাপত্তারক্ষী বলেন, ‘‘চাবি নেই।’’ তালা খোলা নিয়ে প্রায় ৪০ মিনিট টালবাহানা চলে৷ অবশেষে তালা খুলে রাইস মিলের ভিতরে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানে ঢুকে চোখ কপালে অফিসারদের৷

তাঁরা দেখেন, মিলের ভিতর একটি শেডের নীচে একাধিক মূল্যবান এসইউভি গাড়ি দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই গাড়িগুলি কার, সেই জবাব দিতে পারেননি নিরাপত্তারক্ষীরা। এদিকে সবকটা গাড়ির রং কালো। সেগুলিতে আবার তৃণমূলের স্টিকার লাগানো ছিল বলে জানা গিয়েছে। এর পরেই মিলের ভিতরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করে সিবিআই।

জানা গিয়েছে, অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল নিজে এই মিলে বসতেন৷ তিনিই সবটা দেখাশোনা করতেন৷ যিনি আবার প্রাথমিক স্কুলেরও দিদিমণি। তাঁর নামে থাকা একটি ফেসবুক প্রোফাইলেও এই মিলের উল্লেখ মিলেছে৷

সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১১ সালে ভোলে ব্যোম মিলটি জনৈক হারাধন মণ্ডলের কাছ থেকে কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। যার অংশীদার তাঁর স্ত্রী ও কন্যা৷