প্রকাশ্যে এলো রাওয়াতের মৃত্যুর কারণ

গত বছরের শেষের দিকেই আচমকাই ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুঘটনার সাক্ষী রয়েছে গোটা দেশ। এই গটনার শোক এখনো ভুলে উঠতে পারেনি অনেকে। গত বছরের শেষেই মর্মান্তিক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন সিডিএস বিপিন রাওয়াত, তাঁর স্ত্রী সহ ১৪ জন। ঠিক কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছিল তা নিয়ে আলোচনার শেষ নেই। ঘটনার প্রায় এক মাস পর কিছুদিন আগেই জমা পড়েছিল তদন্ত রিপোর্ট। সেখানে উঠে এসেছিল পাইলটের গাফিলতির তথ্য! এবার তাতেই কার্যত শিলমোহর দিল বায়ুসেনা গঠিত তদন্ত কমিটি। জানান হয়েছে, পাইলটের একটি ছোট্ট ভুলের কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

বায়ুসেনার ‘কোর্ট অফ এনকয়ারি’ প্রাথমিক রিপোর্টে জানিয়েছে, আচমকা খারাপ আবহাওয়ার কারণে মূলত এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাইলট ঘন কুয়াশার মধ্যে কপ্টার নিয়ে ঢুকে গিয়েছিল। যার ফলে সে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। উড়ানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘কন্ট্রোল্ড ফ্লাইট ইনটু দ্য টেরেন’। কপ্টারটির ডাটা রেকর্ডার, ভয়েস রেকর্ডার এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান যাচাই করে বায়ুসেনা এই সিদ্ধান্তেই এসেছে। অর্থাৎ এক কথায়, খারাপ আবহাওয়ার মধ্যে একটি ছোট ভুলের কারণেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে স্পষ্ট করে দিল তারা। এর আগে তদন্ত রিপোর্টে জানান হয়েছিল, সমস্যা বুঝতে পারার পরেও দায়িত্বে থাকা পাইলটরা গ্রাউন্ড স্টেশনের কাছে কোনও সাহায্য চাননি৷ গ্রাউন্ড স্টেশনে আপদকালীন কোনও বার্তাও পাঠানো হয়নি৷ তবে মূল সমস্যা যে আবহাওয়ার ছিল তা একদম স্পষ্ট।

তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, জঙ্গলের ঢাকা পাহাড়ি এলাকার উপর দিয়ে একটি রেললাইন ধরে সামনের দিকে এগোচ্ছিলেন পাইলট। সেই সময় ঘন মেঘের আস্তরণে ঢুকে পড়ে তারা। চপারটির উচ্চতা খুব বেশি ছিল না৷ পাইলটরা মনে করেছিলেন যে, এই অবস্থা থেকে ল্যান্ড না করে আরও ওপরে ওঠাই যুক্তিযুক্ত হবে। সেই সিদ্ধান্তেই ঘটে বিপত্তি। জানা যায়, রাওয়াতের হেলিকপ্টারকে সেদিন আরও ওপরে ওঠার নির্দেশ দিয়েছিল খোদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল। যখন শেষ দেখা গিয়েছিল ওই হেলিকপ্টারকে তখন তার উচ্চতা ছিল সাড়ে ৪ হাজার ফুট মতো। অনেকের ধারণা, নির্দেশ অমান্য করে হেলিকপ্টার ওঠেনি এমন ঘটনা নয়, হয়তো উঁচুতে ওঠার আগেই দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছিল।