আজ থেকে দেশ জুড়ে শুরু হতে চলেছে বুস্টার ডোজ

বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রোধে সব চেয়ে বড় পদক্ষেপ টিকাকরণের। তাই এই করোনা স্ফীতির মধ্যেই আজ থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়ে গেল বুস্টারডোজ৷ ভারতের তৈরি কোভিড টিকা কোভ্যাক্সিন-এর দ্বিতীয় দফা ট্রায়ালের পর ভারয় বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা বলেন, ‘‘কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী একটি ভ্যাকসিন গড়ে তোলার লক্ষ্য সফল হয়েছে৷ একটি অফিসিয়াল বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘ফেজ টু ট্রায়ালে দেখা গিয়েছে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই দীর্ঘ নিরাপত্তা মিলেছে৷’’

বুস্টার ডোজ হল কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ বা সতর্কতামূলক ডোজ যা করোনাভাইরাস সহ রোগের নতুন রূপগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে৷ প্রাথমিক ডোজের প্রতিরোধ ক্ষমতা যখন হ্রাস পেতে শুরু করে তখন বুস্টার ডোজ সুপারিশ করা হয়। দেখতে গেলে এটি কোভিড ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ হবে। ফ্রন্তলাইন ওয়ার্কারদের পাশাপাশি ১০ জানুয়ারী সোমবার থেকে দেশের ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, যাঁদের কোমর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদের বুস্টার ডোজ দেওয়ৈ হবে৷ 
কেন বুস্টার ডোজ প্রয়োজন? 

যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত দুর্বল, তাঁদের সুরক্ষার জন্য বুস্টার ডোজ আবশ্যক৷ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা হু একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাঁদের কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ নেওয়া জরুরি। 

তাছাড়াও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনও ভ্যাকসিনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সময়ের সঙ্গে হ্রাস পেতে শুরু করে৷ সেটাই স্বাভাবিক। তবে কার শরীরের কতটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে, তার উপর অনেকাংশে বুস্টার নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নির্ভর করে৷  ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর প্রায় ছয় মাস তার প্রতিরোধ ক্ষমতা স্থায়ী হয়৷ সেই সময়সীমা পার হওয়ার টিকার কর্যকারিতা হ্রাস পেতে থাকে৷ কমতে থাকে অ্যান্টিবডির মাত্রা৷ সেই সময় বুস্টার ডোজ নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে কি না, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির শরীরের অ্যান্টিবডি কাউন্ট করে ঠিক করেন চিকিৎসকরা৷ তবে সুরক্ষা কমার অর্থ এই নয় যে শরীর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে।

ভারতে বুস্টার ডোজের সুবিধা কী? 

ভারতে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের বুস্টার ডোজ রয়েছে৷ যে টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন, সেই ডোজেরই বুস্টার ডোজ নিতে হবে৷ তবে ভারতে কোভোভ্যাক্স এবং কর্বোভ্যাক্সের বুস্টার ডোজ এখনও উপলবদ্ধ নয়৷ একই ভাবে স্পুটনিকের বুস্টার ডোজও এখনও বাজারে আসেনি৷