বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে চলছে করোনা সংক্রমণের তান্ডব৷ অতিমারির এই পরিস্থিতিতে গত দুই বছর পর্বে কাটছাঁট হয়েছিল পাঠ্যক্রমে৷ যা নিয়ে তখনই সংশয় প্রকাশ করেছিল শিক্ষা মহলের একাংশ৷ তাঁদের বক্তব্য ছিল, পাঠ্যক্রমে কাটছাঁট করে এখনকার মতো পড়ুয়ারা উতরে গেলেও উচ্চতর শিক্ষার ক্ষেত্রে কী হবে? করণ পুরো পাঠ্যাংশ তাঁদের অধিগত নয়৷ এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর ঘোষণা করা হয়েছে, ৩৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারাও উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ত পারবে৷ ফলে আরও একটা প্রশ্ন উঠেছে৷ ৩৫ শতাংশ নম্বর পাওয়া পড়ুয়ারা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার সুযোগ পেলেও কতখানি সফল হতে পারবে তারা?
সরকারের এই সিদ্ধান্তে সংশয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা৷ তাঁরা বলছেন, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে, প্রতিটি স্কুল সর্বাধিক ৪০০ জন ভর্তি নিতে পারবে৷ এর জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলির পরিকাঠামোর উন্নতি করা দরকার। তার উপর অনেক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাও নেই। সেই সব ঘাটতি পূরণ না করেই বিপুল সংখ্যক পড়ুয়াকে ভর্তি করলে সমস্যার সমাধান হবে কী ভাবে?
সম্প্রতি উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মাধ্যমিকে অঙ্ক, জীবনবিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞানে ৩৫ শতাংশ নম্বর পেলেই উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান শাখায় পড়ার জন্য আবেদন করা যাবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসুর কথায়, “কম নম্বর পাওয়ার পর এ ভাবে বিজ্ঞান নিয়ে পাশ করে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তির স্বপ্ন দেখালে আখেরে ক্ষতি হয় পড়ুয়াদেরই। উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার জন্য মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৫০ শতাংশ নম্বর আবশ্যিক করা হোক।” প্রসঙ্গত, গত বছর করোনার দাপটে পরীক্ষা না হওয়ায় ভর্তির জন্য ন্যূনতম নম্বর ৪৫ শতাংশ করা হয়েছিল।