বড়ো ঘোষণা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর

অবশেষে আজ কিছুটা হলেও স্বস্তি মিললেও। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় খুলে গেলেও প্রাথমিক ক্লাস গুলি কবে খুলবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আপাতত সেই সব শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে চলছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি। তাহলে তাদের ছোটদের ক্লাস কবে থেকে খুলতে পারে? এই নিয়ে আজ বড় আপডেট দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরে উদ্বাস্তুদের পাট্টা দান কর্মসূচিতে তিনি জানালেন, ছোটদের স্কুল খোলার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।

এদিন মমতা জানান, ৫০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে ছোটদের স্কুল খোলা হতে পারে। তবে কোভিড পরিস্থিতি বুঝে ছোটদের স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে একদম আগের মতো না হলেও পরিস্থিতি বুঝে রোটেশনে স্কুল খোলা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলির সঙ্গেও আলোচনা চালানো হবে এই বিষয়ে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে সাম্প্রতিক অনেক রিপোর্ট বলছে যে, রাজ্যের শিক্ষার মান এবং হার দুইই পড়ে গিয়েছে লাগাতার স্কুল বন্ধ থাকার কারণে। বহু পড়ুয়া অক্ষর চিনতে পারছে না, বাক্য গঠন করতে পারছে না। এমনকি পঞ্চম বা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণির অঙ্ক সমাধান করতেও অনেকাংশে ব্যর্থ হচ্ছে। তাই দ্রুত স্কুল খোলার দাবি বাড়ছে।

নোবেলজয়ী বাঙালি অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাজ্যের স্কুল খোলার পক্ষে সাওয়াল করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এইভাবে স্কুল বন্ধ রাখার ফলে। পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ারা দ্বিতীয় শ্রেণির অঙ্ক করতে পারছে না এমনও দেখা গিয়েছে। এখন যেভাবে পড়ানো হচ্ছে তা সঠিক পদ্ধতি নয়। এই কারণেই স্কুল ছুটের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্কুল খোলার পক্ষেই সওয়াল করেছেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি অ্যানুয়াল স্ট্যাটাস অফ এডুকেশন রিপোর্টও প্রকাশ করেছেন। অভিজিৎ জানান, স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে পড়ুয়াদের অভ্যাস নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।