সম্প্রতি চাকরিকে কেন্দ্র করেই এক মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে গোটা রাজ্য৷ সরকারি নার্সের চাকরি পাওয়ার ‘অপরাধে’ স্ত্রীর হাতে কেটে ‘শাস্তি’ দিয়েছে স্বামী৷ কেতুগ্রামের এই নৃশংস ঘটনা গোটা রাজ্যে সাড়া ফেলেছে৷ এই ঘটনায় এবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, রেণুকে কৃত্রিম হাত দেওয়া হবে৷ শুধু তাই নয়, রেণু নার্সিং-এর চাকরিটিও বজায় থাকবে৷ এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও ভবানীপুর থেকে জানান মমতা৷
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, সরকারের তরফে রেুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আরও উল্লেখ করেন, রেণুর হাতের চিকিৎসা স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে করা হয়নি। এক্ষেত্রে কেন সমস্যা হয়েছে, তা দেখার জন্যেও মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি জানান, রেণুর পাওয়া নার্সিংয়ের চাকরিটিও তাঁরই থাকবে। ২২ নম্বরে নাম ছিল রেণুর। সরকারের তরফে কৃত্রিম হাত দেওয়ার পর রেণু যে কাজটি করতে পারবেন, সেই কাজই দেওয়া হবে তাঁকে।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার ষড়যন্ত্র করে ঘুমের মধ্যে রেণুর হাত কেটে নেয় তাঁর স্বামী শের মহম্মদ৷ স্ত্রীকে সরকারি চাকরি করতে দেবে না বলেই এই নৃশংস ষড়যন্ত্র করে সে৷ সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে রেণুর শ্বশুর-শাশুড়িকে৷ মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান থেকে ধরা পড়ে শের৷ শনিবার রাতে কেতুগ্রামের বাড়িতে শের মহম্মদ ছাড়াও আরও দু’জন ছিলেন বলে অভিযোগ। তারাই শেরকে রেণুর কব্জি কাটার কাজে সাহায্য করে৷