বেলুন কাণ্ডের জেরে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করায় বাধা সৃষ্টি করল

সম্প্রতি উঠেছিল বড় অভিযোগ। মার্কিন এয়ারস্পেসের উপর ঘুরপাক খাচ্ছিলো চিনের নজরদারি বেলুন৷ চিনের উপর নজরদারির ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলল পেন্টাগন৷ ওয়াশিংটনের দাবি, আকাশ পথে নজরদারি চালানোর জন্য এই বেলুন পাঠিয়েছে চিন৷ দিন কয়েক পর্যবেক্ষণের পর সেটিকে গুলি করে নামানো হলেও, মেটেনি বিবাদ৷

গত বছর নভেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মুখোমুখি হয়েছিল চিন ও আমেরিকা৷ সেই সময় চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরস্পরকে বলেছিলেন, ‘দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধের কোনও প্রয়োজন নেই।’ এই বৈঠকের পর দুই দেশ নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ আরও নিবিড় করার উদ্যোগও নেয়। কিন্তু আমেরিকার আকাশে একটি ‘গোয়েন্দা বেলুন’ ঢুকে পড়ে সব চেষ্টায় জল ঢালল।

চিনের দাবি, ওই বেলুনটি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ছিল না। বরং আটলান্টিক উপকূলে পরিবেশ, আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করার কাজ করছিল। হাওয়ার ধাক্কায় সেটি নিজের গতিপথ বদলে আমেরিকার আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছে। যদিও পেন্টাগনর দাবি, বেলুনটি সাধারণ কোনও বেলুন নয়, এতে অত্যাধুনিক সোলার প্যানেলসহ এমন কিছু উপাদান ছিল, যা আবহাওয়া গবেষণায় কাজে লাগে না৷ এই বেলুনকাণ্ড যে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নত করার প্রচেষ্টায় কিছুটা হলেও বাধা সৃষ্টি করেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। বেলুন কাণ্ডের জেরে এখনই মৈত্রির ফুল ছেড়ে যুদ্ধের অস্ত্র হাতে তুলে নেবে না দুই দেশ৷