গত বছরের পর চলতি বছরেও সাধারণ মানুষ ধন্দে ছিলো বাজি ফাটানো নিয়ে। কালী পুজোর সময় বাজি ফাটানো হবে এটাই একদম স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এখন অনেক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে এবং এর পাশাপাশি রয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার। তাই দীপাবলিতে বাংলায় কতক্ষণ বাজি ফাটানো যাবে সেই নিয়ে ইতিমধ্যেই সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড। তবে শুধু কালী পুজো বা দীপাবলি নয়, ছট পুজো এবং নববর্ষের দিন কতক্ষণ বাজি ফাটানো যাবে সেটাও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলে দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ জানাচ্ছে, দীপাবলীর দিন শুধুমাত্র দু’ঘণ্টা, রাত ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে। এদিকে ছট পুজোর দিন মাত্র দু’ঘন্টার জন্যই বাজি ফাটানো যাবে। সে ক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে সকাল ৬ টা থেকে ৮ টা। পাশাপাশি আরও জানানো হয়েছে, বড়দিন এবং নববর্ষে মাত্র ৩৫ মিনিট বাজি ফাটানোর অনুমতি পাবে সাধারণ মানুষ। রাত ১১ টা ৫৫ থেকে সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত বাজি ফাটানো যাবে এই দুদিন। এর আগে বাজি ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার আবেদন জানিয়ে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত বছর এই মামলার প্রেক্ষিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এবছরও পরিস্থিতি তুলনামূলক এক তাই এবারও একই প্রেক্ষিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে আদালতে।
গত বছর জনস্বার্থ মামলার ভিত্তিতে রাজ্য জুড়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল বাজি ফাটানো। স্বাভাবিকভাবে বাজি বাজার বন্ধ করে দেওয়ার কারণেই বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ হয়েছিল। এ বছরেও কার্যত একই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। পুরোপুরি বন্ধ না করে দিয়ে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে দূষণ পর্ষদের তরফ থেকে। যদিও বাস্তবে এই সময়সীমা মেনে বাজি ফাটানো হয় কিনা সে নিয়ে তর্ক হতেই পারে। কারণ গত বছর বিক্ষিপ্তভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাজি ফাটানোর খবর উঠে এসেছিল নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও।