উদ্বেগ কাটিয়ে ‘অশনি’ নিয়ে স্বস্তির বার্তা দিল আলিপুর আবহওয়া দফতর

না কোন ভয় পাবার কারন নেই! কারন, বাংলায় ‘অশনি’র আছড়ে কোন প্রভাব দেখতে পাচ্ছেন না আবহওয়াবিদেরা। আলিপুর আবহওয়া দফতর ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে ‘অশনি’। ভৌগলিক মতে, ঘূর্ণিঝড়টি গত ৬ ঘণ্টায় ২৫ কিমি বেগে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম অভিমুখে অগ্রসর হয়ে আজ ৯ ই মে, সকাল ৮টা ৩০ নাগাদ ১৪ ডিগ্রি উঃ অক্ষাংশে এবং ৮৮ ডিগ্রি পুঃ দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে তথা  নিকোবর থেকে ১২০ কিমি উত্তরপশ্চিমে আবার পোর্টব্লেয়ার থেকে ৭৭০ কিমি উত্তরপশ্চিমে, এবং বিশাখাপত্তনম থেকে ৫০০ কিমি দক্ষিণ পূর্বে সর্বশেষ পুরী থেকে ৬৫০ কিমি দক্ষিনে অবস্থান করছে।

এটি খুব সম্ভবত আগামী ১০ই যে রাত্রি পর্যন্ত উত্তর-পশ্চিমে দিকে অগ্রসর হয়ে উত্তর অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের অদুরে পশ্চিম মধা ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করবে। তারপর এটির উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে দিক পরিবর্তন করে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করার প্রবল সম্ভাবনা আছে। পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় এটি শক্তি ক্ষয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিনত সম্ভাবনা আছে। তবে আগামী ৯ থেকে ১৩ই যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে হাল্কা থেকে মাঝারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। আজ তথা ৯ তারিখ ভারী বৃষ্টিপাত হবে, কলকাতা হাওড়া, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দু-এক জায়গায় । আগামীকাল ১০ তারিখ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে হাওড়া, নদীয়া, পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার দু-এক জায়গায় ভারী সম্ভাবনা আছে।

পাশাপাশি সতর্কবার্তা দিয়ে আবহওয়া দফতর জানিয়েছে, ১০ই মে ২০২২ থেকে পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িষ্যা উপকূলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে পাড়ি দিতে নিষেধ করা হচ্ছে। যারা এই মুহূর্তে সমুদ্রে আছেন তাদের আজ, ৯ তারিখ রাত্রের মধ্যে ফিরে আসতে অনুরোধ করা হচ্ছে। তাই ১০ মে ২০২২ থেকে ১৩ই মে ২০২২ পর্যান্ত সমুদ্রে মাছ ধরা ও ভ্রমন সম্পূর্ণ রূপে বর্জনীয়। এরইসাথে সমুদ্র তীরের সব রকম কার্য কলাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবে। এবং কৃষি জমি থেকে অতিরিক্ত জল বের করে দেবারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।