জগদ্ধাত্রী পুজোর সাঙ বাতিলের সিদ্ধান্তে অনর থাকলো প্রশাসন, প্রশ্নের মুখে প্রশাসনিক ভূমিকা কৃষ্ণনগরে।

কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি কে বজায় রাখতে ঐতিহ্যবাহী জগদ্ধাত্রী পূজার সাঙ প্রথা বাতিলের ক্ষেত্রে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকলো কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ প্রশাসন। রবিবার সন্ধ্যায় কৃষ্ণনগর রবীন্দ্র ভবন সভা কক্ষে শহরের প্রত্যেক পূজা বারোয়ারি কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেখানে আসন্ন জগদ্ধাত্রী পূজার প্রধান আকর্ষণ প্রাচীন সাঙ প্রথা বাতিলের বিষয়টি কার্যত একতরফাভাবে কার্যকর করার সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার অভিযোগ ওঠে জেলা স্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয় উপস্থিত পূজো বারোয়ারী কমিটির সদস্যদের ওপর বলে অভিযোগ সভায় উপস্থিত কৃষ্ণনগর শহরের প্রতিটি বারোয়ারি কমিটির সদস্যদের। পাশাপাশি এই দিনের সভাতে উপস্থিত বারোয়ারি কমিটির সদস্যদের নিজেদের মতামত জানাবার সুযোগ পর্যন্ত করে দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলেও অভিযোগ করেন বিভিন্ন বারোয়ারী কমিটির সদস্যরা। যার ফলে জগদ্ধাত্রী পূজা উপলক্ষে এই বছর সাঙ যাত্রা হবে কিনা সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার বদলে সভা চলাকালীন সাময়িকভাবে বিশৃংখলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সভা কক্ষে। আলোচনা শুরু হওয়ার পর বর্তমান করোনা অতিমারী পরিস্থিতিতে বিগত বছরের মতো এই বছরেও জগদ্ধাত্রী পূজার সাঙ বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রশাসনিক কর্তারা। অভিযোগ এই বিষয়ে উপস্থিত বারোয়ারী কমিটি গুলির সদস্যদের কোনরকম মতামত জানানোর সুযোগ দেওয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। যেখানে কালী পূজা উপলক্ষে কয়েকদিন আগে পার্শ্ববর্তী শহর নবদ্বীপ ও শান্তিপুরে হাজার মানুষের উপস্থিতিতে আগমেশ্বরী কালীর বিসর্জন যাত্রা করা হয়েছিল শতাধিক বেহারাদের কাঁধে চেপে, সেখানে ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন জগদ্ধাত্রী পূজার সাঙ যাত্রায় অনুমতি কেন দেওয়া হবে না প্রশাসনের পক্ষ থেকে তার দাবি তোলেন বারোয়ারি কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তাদের কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রশাসনিক কর্তারা বলে অভিযোগ স্থানীয় বারোয়ারী কমিটি সদস্যদের। শেষে একপ্রকার বাধ্য হয়েই প্রশাসনের এই একতরফা সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে সভা কক্ষ ত্যাগ করেন বারোয়ারি কমিটির সদস্যরা।এই দিনে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কারা মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস সহ জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠী, পুলিশ সুপার কৃষ্ণনগর পুলিশ ডিস্ট্রিক ঈশানী পাল সহ জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা। প্রশাসনের এহেন আচরণে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।