দল বদল করে এখন নতুন দলের হয়েই প্রচারে নেমেছেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়৷ তিনি ছিলেন একুশের নির্বাচনে পদ্মের তারকা প্রার্থী৷ বেহালা পশ্চিম থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছিল দল৷ কিন্তু তিনি জিততে পারেননি৷ এর পরেই মোহভঙ্গ৷ গত ১১ নভেম্বর সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দেন অভিনেত্রী৷ আর এবার অতীত ভুলে একেবারে তৃণমূলের প্রচারমঞ্চে হাজির তিনি। বহরমপুর পুরসভার ভোটে তৃণমূলের হয়ে প্রচার সারলেন অভিনেত্রী।
বহরমপুরে প্রচারে যোগ দেন শ্রাবন্তী৷ গতকাল বিকেলে বহরমপুর পুরসভার ৭, ১৪, ১৫, ২৫, সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করেন তিনি। পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল প্রার্থী সুব্রত দাস এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রিতা হালদারের হয়ে ভোট প্রচারের জন্য যখন মঞ্চে ওঠেন অভিনেত্রী তখন উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানায় এলাকাবাসী৷ শ্রাবন্তী বলেন, “বহরমপুরে প্রচারে এসে খুবই ভাল লাগছে৷ ব্যাপক উন্মাদনা দেখতে পাচ্ছি শহরের মানুষের মধ্যে৷” তৃণমূল প্রার্থীদের বিপুল ভোটে জয়ী করার আর্জিও জানান তিনি৷ বহরমপুরে প্রচারে গিয়েছিলেন আরও এক তারকা৷
বহরমপুরের খাগড়ার নেতাজি মোড়ে তৃণণূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝড় তোলেন যুব তৃণমুল কংগ্রেসের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। পুরসভার ৬, ১১, ১২, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন জায়গায় সভা করেন সায়নী। তিনি বলেন, বহরমপুরের মানুষ বোধহয় তৃণমূলকে একটু কম বিশ্বাস করেন৷ তাই গতবার তৃণমূলকে ভোট দেননি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক কাজ দেখে এবার মানুষ দু’হাত ভরে ভোট দেবেন৷ বিশ্বাসী সায়নী। তবে বিরোধীদের নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি৷ তাঁর কথায়, বিরোধীদের নিয়ে কথা বলে এক্সট্রা মাইলেজ দিতে চাই না৷