জলপাইগুড়ি:- জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জলপাইগুড়িতে শুরু হলো বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়ির ৫১৫ বছরের মনসা পুজো। বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির ঐতিহ্যবাহী মনসা পুজো উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে প্রাচীন। এই মনসা পুজোকে কেন্দ্র করে বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি প্রাঙ্গণে শুরু হয়ে গেছে বিশাল মেলা। বাংলার সবচেয়ে বড় এই মনসা পুজো চলবে ১৯ আগস্ট পর্যন্ত। যদিও মনসা মেলা চলবে ৬ দিন ধরে। প্রতি বছরের মতো এবারও রাজবাড়ি মন্দির প্রাঙ্গনেই তৈরি করা হয়েছে মা মনসার প্রতিমা। বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের দুই প্রতিষ্ঠাতা বিশ্ব সিংহ ও শিষ্য সিংহ ১৫১০ খৃষ্টাব্দে এই পুজোর সূচনা করেছিলেন।
এখন এই পুজোর আয়োজন করেন রাজ পরিবারের বর্তমান সদস্য প্রণতকুমার বসু ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এই পুজো উপলক্ষে বিষহরির মনসামঙ্গল পালাগান শোনার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন। রাজ পরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল বলেন, প্রাচীন রীতি মেনেই পুজোর সমস্ত আয়োজন করা হয় এখানে। তিনদিন ধরে চলা পুজোয় প্রতিদিন ভিন্ন রকমের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে। কোনদিন দেওয়া হয় পোলাও।
আবার কোনদিন থাকে ভাত ও খিচুড়ি। একইসাথে নিবেদন করা হয় মাছ ও মাংসের বিভিন্ন পদ। রাজবাড়ির এই পুজোয় মনসা দেবী আটটি বিশেষ রূপে পুজিত হন। এছাড়া অনন্ত নাগ, বাসুকী, পদ্মা, মহাপদ্মা, কুলির, কর্কট, শঙ্খ, ইষ্টনাগ সহ দশ রকমের নাগ প্রতিমারও পুজো হয় এখানে। পুজো হয় মনসাদেবীর স্বামী জরদকার মুনির। এছাড়া মন্দির প্রাঙ্গনে বেহুলা, লখিন্দর ও গদা, গদানির পুজো করা হয়। বৈকুন্ঠপুর রাজ পরিবারের পুরোহিত শিবু ঘোষাল জানান, পুজো তিনদিন হলেও এখানে ছয়দিন ধরে মেলা চলবে।