ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল ত্রিপুরাতে

পূর্ব ঘোষনা মতো গতকাল উপনির্বাচন ছিল ত্রিপুরাতে। কিন্তু এই ভোটপর্ব ঘিরেও সৃষ্টি হয়েছে ধুন্দুমার পরিস্থিতির। ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ত্রিপুরা জুড়ে, এমনকি রক্তও ঝড়েছে ভোটপর্ব ঘিরে। ভোট দিতে যাচ্ছিলেন সস্ত্রীক পুলিশ কর্মী। কিন্তু মাঝ পথেই তাঁর পেটে মারা হল ছুরি! রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটল ত্রিপুরার উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে। আর বিরোধীদের নিশানায় রয়েছে রাজ্যের শাসক দল বিজেপি। কারণ অভিযোগ উঠেছে, ওই পুলিশ কর্মীকে ভোট দিতে যেতে বাধা দেয় বিজেপি আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতী। এছাড়াও একাধিক বুথে ভোটারদের ঢুকতেই দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করা পাল্টা বিরোধীদের তোপ দেগেছে গেরুয়া শিবির।

বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার চার বিধানসভা আসন আগরতলা, টাউন বরদোয়ালি, সুরমা এবং যুবরাজনগরে উপনির্বাচন চলছে। বড়দোয়ালি টাউন কেন্দ্র থেকে ভোটে লড়ছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। আবার সদ্য বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে ফেরা সুদীপ রায় বর্মনও আগরতলা কেন্দ্রে লড়ছেন। তাই উপনির্বাচন হলেও এই ভোট নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গেই। তার মধ্যে আবার ঝামেলার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। ভোটে অংশ নিয়েছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসও। তাই উত্তাপ যে এই ভোট ঘিরে থাকবেই তা নিশ্চিত।

যে ঘটনা ঘটেছে তার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তৃণমূলের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনে তারা অভিযোগ জানিয়েছে কিন্তু কোনও রকম লাভ হয়নি। তাদের অভিযোগের কোনও পাত্তা দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে তাদের প্রশ্ন, পুলিশ কর্মীকেও যদি এইভাবে সন্ত্রাসের সম্মুখিন হতে হয় তাহলে আম জনতা কী করবে? এদিকে কংগ্রেসের সুদীপ রায় বর্মন দাবি করেছেন, ভোটের নামে প্রহসন চলছে রাজ্যে, চারিদিকে উত্তেজনা। বিজেপি ভোটের নামে তা লুট করছে। বহিরাগততে ছেয়ে গিয়েছে রাজ্য।