বৃষ্টির আশায় দিন গুনছেন চা কর্মীরা। গ্রীষ্মকালে তেমন গরম পড়েনি, বর্ষাকালে সেরকম বৃষ্টি হয়নি, শীতকালেও তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল না। তবে এবার শরৎ কালের বৃষ্টিতে পাতার মান ভাল হবে বলে আশায় সমস্ত চা মহল্লা।
চা বাগান কর্মীদের দাবি, বর্ষার শেষ দিকে বৃষ্টি হয়নি। আশ্বিনের গোড়াতেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে। দিন কয়েক ধরে কখনও তুমুল, কখনও হালকা বৃষ্টি চলছে। বর্ষার শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় চা গাছের গোড়া শুকিয়ে পাতার উপরে ধুলোর আস্তরণ পড়েছিল। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ধুলো সরে চা পাতার সবুজ রং ফিরে এসেছে। চা বাগান সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর ডুয়ার্স শাখার চেয়ারম্যান জীবনচন্দ্র পান্ডে বলেন, ‘‘বৃষ্টি পেয়ে চা পাতার বৃদ্ধি তাড়াতাড়ি হবে। চা পাতার মান ভাল হবে ও চা পাতার স্বাদও বাড়বে।
জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এই তিন জেলাই উত্তরের ‘চা মহল্লা’ বলে পরিচিত। বৃষ্টির ফলে, চা বাগানে আপাতত খুশির হাসি৷ সর্বভারতীয় সংগঠন ‘সিস্টা’-র কার্যকরী সভাপতি বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এ বছর গোড়া থেকেই আবহাওয়া প্রতিকূল। শরৎ কালের বৃষ্টি চায়ের জন্য অত্যন্ত ভাল খবর।’’