চলছে প্রস্তুতি। এবার পাল্টা মারের পালা। চিনা আগ্রাসন রুখতে এবং লাল ফৌজকে যোগ্য জবাব দিতে এবার পাল্টা সামরিক মহড়া শুরু করল তাইওয়ানের সেনা।
জানা যাচ্ছে চীনা সেনা মহড়ার পাল্টা হিসেবে তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী একটি লাইভ ফায়ার আর্টিলারি ড্রিল শুরু করেছে, যা চিনা আক্রমণকে প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষভাবে সক্ষম।
উল্লেখ্য চীনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কোনভাবেই মাথা নত করতে রাজি নয় তাইওয়ান দ্বীপ রাষ্ট্র। এর আগেও চিনের একাধিক হুংকার ফুৎকারে উড়িয়েছে এই দেশ।
এবারও তার অন্যথা হবে না, তারই প্রমাণ দিল তাইওয়ান ফৌজ। সূত্রের খবর তাইওয়ানে শুরু হয়েছে এই ড্রিল। একেবারে আসল গোলা ছুঁড়ে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছেন রাষ্ট্রের বাহিনীরা।
এই প্রসঙ্গে তাইওয়ানের, সেনার অষ্টম আর্মি কোরের মুখপাত্র লউ ওয়েই জাই জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পিংটাং প্রদেশে সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার এই দু’দিন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কৌশল ঝালিয়ে নেওয়া হবে।
তাইওয়ানের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪০টি হাউৎজার কামান ও হাজারেরও বেশি সেনা। সূত্রে খবর, তাইওয়ানের মোট ছ’টি বড় বন্দরকে নিশানা করছে চিন। রাজধানী তাইপেইয়ের পাশাপাশি উত্তরের কিলুং, পশ্চিমের সুয়াও এবং হুয়ালিয়েন, দক্ষিণ তাইওয়ানের কাওশিয়ুং এবং পূর্বের তাইচুয়াং বন্দর রয়েছে এই তালিকায়।
চিনা জে-২০ স্টেল্থ ফাইটার জেট, টাইপ ০৫-২ডি ডেস্ট্রয়ার গোত্রের যুদ্ধজাহাজ এবং বেশ কিছু ছোট দ্রুতগতিসম্পন্ন কর্ভেট জলযান তাইওয়ানের জলসীমা লাগোয়া এলাকায় কার্যত বেড়াজাল তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের হাত ধরেই শুরু হয়েছে এই আগ্রাসন। তাঁর সফরের আগেই চিনের তরফ থেকে আমেরিকাকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছিল মার্কিন স্পিকার যদি এই সফর করেন তাহলে তার চরম মূল্য দিতে হবে।
কিন্তু সেই হুশিয়ারি এড়িয়েই গত সপ্তাহে, তাইওয়ানে পা রাখেন পেলোসি। এরপরেই তাইওয়ানকে ঘিরে মোট ছটি জায়গায় মহড়া শুরু করে চিন। এমনকি বেশ কয়েকটি জায়গায় আন্তর্জাতিক জলসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানের অংশেও ঢুকে পড়েছে চিনের যুদ্ধজাহাজ। এই একই ঘটনার আবহে বুধবার জাপানের সমুদ্রে আছড়ে পড়েছিল চিনা মিসাইল।