রোজ ক্রমাগত বেড়ে চলছে ওমিক্রনের দাপট। এরফলে চিন্তা বাড়ছে চিকিৎসকদের। সবচেয়ে চিন্তার বিষয় হল, এতদিন পর্যন্ত ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের কিছু উপসর্গের সঙ্গে করোনার উপসর্গের মিল ছিল৷ যেমন, জ্বর আসা এবং স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়া৷ তারফলে কিছুটা হলেও ওমিক্রন রোগী চিহ্নিতকরণ সহজ হচ্ছিল৷ এখন ওমিক্রন রোগীর এইসব লক্ষণ উধাও। খালি মাথা ব্যাথা ও ক্লান্তিভাব আসছে৷ সেক্ষেত্রে বর্তমানে সাধারণ মানুষের কাছে এখন বড় চ্যালেঞ্জ, কীভাবে চেনা যাবে ওমিক্রন রোগী৷
করোনার তাণ্ডব দেখে ওমিক্রনকে এখন খুব হালকা বা সহজ করে নিচ্ছেন না অনেকেই। ওমিক্রন নিয়ে এখন সাধারণ মানুষের মনে নানা প্রশ্ন জাগছে৷ সবাই এখন তারফলে ভয়ও পেয়ে আছেন। সাধারণ মানুষের ওমিক্রন নিয়ে কৌতূহল দূর করার জন্য তাই এখন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। সাধারণ মানুষের তরফ থেকে প্রশ্ন ছিল, কোন পরীক্ষার মাধ্যমে বোঝা যাবে কোন ব্যক্তি ওমিক্রন আক্রান্ত? মানুষের শরীরে এই ভেরিয়েন্টের উপস্থিতি বোঝার সবচেয়ে সহজ উপায় হল- আরটিপিসিআর পরীক্ষা। এই টেস্টের মাধ্যমেই বোঝা যাবে, এই ভেরিয়েন্টের জিন শরীরে প্রবেশ করেছে কিনা৷ বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, এখনও ওমিক্রন কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়েনি। তাই ভয়ের কিছু নেই তবে অবশ্যই করোনার সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ‘এফএকিউ’ সেটে ওমিক্রনকে প্রতিহত করতে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। করোনা টিকার দুটি ডোজ যারা এখনও নেননি তাদের অবশ্যই তা নিয়ে নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে ওই সেটে। টিকা ওমিক্রনের ওপর কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে নানান বিতর্ক রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। তাই টিকার গুরুত্বকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওমিক্রন সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন, প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের পরিবর্তিত চরিত্র বোঝার চেষ্টা করছেন। চরিত্র বুঝে সঠিক গাইডলাইনও কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রকাশ করা হবে৷