সংরক্ষণ নীতি নিয়ে কড়া মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের

সংরক্ষণ নীতি (Reservation) নিয়ে ৯ ই জানুয়ারি বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। গত ৭৫ বছরে যাঁরা সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন সমাজে এবং যাঁরা প্রতিযোগিতায় সক্ষম, তাঁদের আর সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই। ৯ ই জানুয়ারি এমনই মন্তব্য করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।এর আগে ২০২৪ এর অগাস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের একটি সাংবিধানিক বেঞ্চ জানিয়েছিল, প্রয়োজনে রাজ্য সরকারগুলি অনগ্রসর শ্রেণিগুলির মধ্যে আরো শ্রেণি তৈরি করতে পারে। ওই রায়ে বলা হয়েছিল, অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে যারা তুলনামূলক ভাবে কম উন্নত তাদের জন্য সংরক্ষণ পদ্ধতি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভৈ এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মেসির বেঞ্চ একটি মামলার শুনানিতে এমন মন্তব্য করে। সংরক্ষণের সুবিধা নিয়ে যারা প্রতিযোগিতায় সক্ষম তাদের সংরক্ষণের বাইরে রাখার পক্ষে মত দিয়েছে দুই বিচারপতির বেঞ্চ। তবে এ বিষয়ে সরকার এবং আইন প্রণেতাদের নিতে হবে বলেও মন্তব্য করে শীর্ষ আদালত।ওই বেঞ্চের অংশ ছিলেন বিচারপতি গাভৈ। তবে তিনি পৃথক রায়ে জানিয়েছিলেন, যারা আর্থিক এবং সামাজিক ভাবে সক্ষম তাদের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

গত বছরের রায়ের নিরিখে হওয়া মামলায় আবেদনকারীর আইনজীবী বলেন, শীর্ষ আদালতের ওই রায়ের পর ছয় মাস কেটে গেলেও রাজ্য সরকার কোনো নীতি তৈরি করেনি। সেক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন আবেদনকারীর আইনজীবী। গত বছর সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ ৬:১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জানিয়েছিল, তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মধ্যেও উপবিভাগ করা যাবে। কিন্তু বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী ভিন্ন মত পোষণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সংরক্ষণের মধ্যে শ্রেণিবিভাগ করা সংবিধান বিরোধী।