কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েও এক অজ্ঞাত আগন্তুকের মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে প্রবেশ নিয়ে এই মুহূর্তে উত্তাল রাজ্য। এরই মাঝে নিরাপত্তার সংক্রন্ত কারণে বড় ঘোষণা করে নবান্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দিকে নজর দিয়ে তাঁর বাসভবনে ও নবান্নে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের ডিউটি করার সময় স্মার্ট ফোন জমা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে এই সিদ্ধান্তের চরম বিরোধিতা করেছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ও নবান্নে দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের ডিউটি করার সময় স্মার্ট ফোন জমা রাখার যে নতুন সিদ্ধান্ত রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়েছে তার কড়া সমালোচনা করে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এটা ঠিক। কিন্তু নবান্নে কাজে যেতে গেলে মোবাইল ফোন জমা দিয়ে যেতে হবে, সরকারি কর্মচারীদের এত অবিশ্বাস করা হচ্ছে কেন সে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রীর সবচেয়ে ঘনিষ্ট যাঁরা তাদের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় বলে সুজনের দাবি। তাঁর কথায়, যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে, সরকারি যে কোনও মিটিং করতে মোবাইল চালান, সেই রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের মোবাইল জমা দিয়ে দিতে হবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।
আগেই লালবাজার মুখ্যমন্ত্রীর সুরক্ষা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে অতিরিক্ত আরও ১৮ জন কনস্টেবল মোতায়েন করা হচ্ছে। বাড়ানো হচ্ছে সিসিটিভির সংখ্যা। একই সঙ্গে যে সমস্ত টহলদারি ভ্যান থাকে তার সংখ্যাও বাড়ানো হবে। তারও আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।