কোচবিহার মহাশ্মশানে ভোগান্তি

কোচবিহার শহরের বিবেকানন্দ স্ট্রিট এলকায় রয়েছে কোচবিহার মহাশ্মশান। এই মহাশ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি নিয়ে বর্তমানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। মূলত সেই কারণে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষকে। এই মহাশ্মশানে ২০০২ সালে বসানো হয় বৈদ্যুতিক চুল্লি। তবে এই চুল্লি প্রায়শই অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এছাড়া মহাশ্মশানের পেছন দিক দিয়েই রয়েছে মরা তোর্সা নদী। তবে এই নদীটি দেখলে নদী বলে মনেই হবে না। কচুরিপানা ও আগাছায় রীতিমত মৃতপ্রায় অবস্থা এই নদীটির। দীর্ঘ সময়েও এটি সংস্কার করা হয়নি। এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা আশু সরকার জানান, “শ্মশানের নদীর মধ্যে জমে আছে প্রচুর কচুরিপানা এবং নোংরা আবর্জনা। ফলে এখান থেকে প্রায়শই ভয়ঙ্কর পচা দুর্গন্ধ ছড়ায় এলাকা জুড়ে।

এছাড়া শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লি খারাপ হয়ে রয়েছে। শ্মশানে শব দাহ করতে আশা মানুষদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কাঠে পোড়ানোর ফলে ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে গোটা এলাকায়। আর গরিব দুঃস্থ মানুষদের কাঠ কিনে পোড়ানোর সাধ্য অনেক সময় থাকে না। তখন তাঁদের বিপাকে পড়তে হয়। এছাড়া ইলেক্ট্রিকের চাইতে কাঠে দাহ করতে সময় লাগে অনেকটা।”