চলতি বছরের শুরুতেই সূত্রপাত ঘটেছিল রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের, যার জের চলেছে এখনো পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে এবার কি তবে আরো এক যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটবে? তাইওয়ানের আকাশে চিনা যুদ্ধবিমানের আস্ফালন৷
আমেরিকার যুদ্ধবিমানের ঘেরাটোপে হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির উড়ান স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির উড়ান তাইওয়ানের মাটি ছাড়তেই সে দেশের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ে ২৭টি চিনা যুদ্ধবিমান৷
প্রতিরক্ষা সীমা লঙ্ঘন করেই বিমানগুলি পাক খায় তাইওয়ানের আকাশে৷ উল্লেখ্য, তাইওয়ান একটি স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র৷ কিন্তু, চিন তাইওয়ানকে বরাবরই তাদের দেশের অংশ হিসাবে দাবি জানিয়ে আসছে৷ সেই কারণেই তাইওয়ানে মার্কিন প্রতিনিধির সফরকে ভাল চোখে দেখছে না চিন।
বুধবার বিকেলেই গোটা তাইওয়ান প্রণালীকে বিপজ্জনক অঞ্চল বলে চিহ্নিত করে বেজিং৷ চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে তাইপেইয়ের শোংশান বিমানবন্দরে অবতরণ করে ন্যান্সি এবং তাঁর সফরসঙ্গী কংগ্রেস সদস্যদের বিমান।
সেই সময়ই তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল ২১টি চিনা ফাইটার জেট৷ বুধবার দিনভর দফায় দফায় তাইওয়ান প্রণালীর উপর দিয়ে চলেছে চিনা যুদ্ধবিমানের গর্জন। চিনের রাস্তাঘাটেও ট্যাঙ্কার চলাচল করতে দেখা যায়।
পাশাপাশি, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক বিধিনিষেধও জারি করে বেজিং। তাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সহযোগী চিন সে দেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি এবং বালি সরবরাহ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মার্কিন সংসদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি যাতে তাইওয়ান সফরে না যান, তার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছিল চিন৷ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়েও এই বিষয়ে হুমকি দিয়েছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী শি জিনপিং৷
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে গতকালই টুইট করে বলা হয়, “৩ অগাস্ট ২৭টি চিনা যুদ্ধবিমান রিপাবলিক অব চিনের আশেপাশের অঞ্চলে ঢুকে পড়েছে।” চিন ও তাইওয়ানের এয়ারস্পেস নিয়ে বরাবরই বিবাদ রয়েছে৷ কিন্তু, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা সীমান্ত পার করে বারংবার চিনা যুদ্ধবিমান ঢুকে পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে৷
এদিকে, ন্যান্সির সফরের সময় চিনকে জবাব দিতে জাপান থেকে তাইওয়ানের আকাশে পৌঁছেছিল আমেরিকার যুদ্ধবিমান। এক দিনের ঝটিকা সফরে এসে তাইওয়ানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়ে গিয়েছেন ন্যান্সি, যা অত্যন্ত ‘তাৎপর্যপূর্ণ’৷ সামরিক ও কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ন্যান্সির সফরের সমাপ্তি দক্ষিণ চিন সাগরে নতুন সঙ্ঘাতের সূচনা করতে পারে।