সারা বিশ্বের নজর এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের দিকে৷ রাজনৈতিক সংঘাতকে কেন্দ্র করে সম্মুখ সমরে রাশিয়া-ইউক্রেন৷ ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার এই হামলায় অনেকেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের অশনি সঙ্কেত দেখছেন৷ এটাই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত কি না তা অবশ্য এখনই বলার সময় আসেনি। তবে এই ঘটনা নিশ্চিত ভাবেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সঙ্ঘাত৷ সেই সঙ্গে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার এই হামলা ফিরিয়ে দিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্মৃতি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি৷ সেখানে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ছেড়ে যেতে পারবেন না ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষেরা।
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেনের ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি পুরুষরা দেশের সীমানা ত্যাগ করতে পারবেন না। দেশে সামরিক আইন বজায় থাকা পর্যন্ত এই নির্দেশিকা কার্যকর থাকবে। আমরা নাগরিকদের এই নির্দেশ এখন থেকেই মেনে চলার নির্দেশ দিচ্ছি।’ দেশের পুরুষ নাগরিকদের সেনাবাহিনীর কাজে লাগানো হবে কি না, সে সম্পর্কে অবশ্য এখনই কিছু পরিষ্কার ভাবে জানাননি প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমি৷ এদিকে, ইউক্রেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিক্টর লিয়াশকো জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেনে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৫৭ জন৷ আহত ১৬৯ জন৷
এদিকে রাশিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিনের সামরিক অভিযান সফল৷ প্রথম দিনেই সমস্ত লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলেছে রুশ সেনা। ইউক্রেনের স্থলভাগে ৮৩টি সামরিক লক্ষ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে৷ ইউক্রেন সেনার তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মোট ২০৩টি সামরিক আঘাত হেনেছে পুতিনের দেশ। তবে তারাও খারকিভের কাছে রাশিয়ার চারটি যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে৷ ছ’টি রুশ যুদ্ধবিমানকে গুলি করে নামিয়েছে ইউক্রেন সেনা। তবে ইউক্রেনের এই দাবি অস্বীকার করেছে রাশিয়া