আচমকা বিপরীতমুখী হলো দলনেতা। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। কাঁচা পাটের দাম নিয়ে সরব ব্যারাকপুরের সাংসদ৷ তাঁর নিশানায় জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী। রাজ্য সরকারের হয়ে ব্যাট ধরে তিনি বলেন, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যে বলা হচ্ছে৷ তাঁর অভিযোগ, চটশিল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে৷ জুট কর্পোরেশনের দুর্নীতির কারণেই পাটশিল্প ধ্বংসের মুখে৷ তাঁর দাবি, এই ঘটনার তদন্তে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হোক।
অর্জুন বলেন, ১৩ ডিসেম্বর আমি ও লকেট জুট কর্পোরেশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি৷ তাঁর দাবি, সরকারি বৈঠকের মিনিট কেন প্রকাশ করা হচ্ছে না? এর পর গতবছর ২৬ নভেম্বর এবং ৬ ডিসেম্বর জুট কমিশনের দু’টি বৈঠক হয়। জুট কমিশনার জানিয়েছিলেন, কুইন্টাল প্রতি পাটের দাম ছ’হাজার টাকা করা হবে বলে রাজ্য সরকার মেনে নিয়েছে। কিন্তু অর্জুনের দাবি, জুট কমিশনার ঠিক কথা বলছেন না।
এই দর রাজ্য সরকার মেনে নেয়নি৷ প্রত্যেক টনে আড়াই হাজার টাকা ক্ষতি করে কতদিন চলবে জুটমিল? তাঁর অভিযোগ, জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তী জুট শিল্পে প্লাস্টিক লবি ঢোকানোর চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই ১৪টি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ আরও ১০টি ধুঁকছে৷ কেন্দ্রীয় সরকার জুট কিনতে চাইছে৷ যেখানে জুট কারখানাই চলছে না, সেখানে মাল উৎপাদন হবে কি করে? প্রশ্ন অর্জুনের৷
প্রসঙ্গত, এর আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়ালের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে সরাসরি আন্দোলনে নামার ডাক দিয়েছিলেন অর্জুন সিং। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কাঁচা পাটের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করা না হলে আন্দোলন হবে।
২০০১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন ভাটপাড়ার দাপুটে নেতা অর্জুন সিং। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দলবদল করে বিজেপি’তে যোগ দেন৷ এর পর বিজেপি’র প্রতীকে ব্যারাকপুরের সাংসদ নির্বাচিত হন৷ তবে সাম্প্রতিককালে রাজ্যে বিজেপিতে ফাটল ক্রমশ চওড়া হচ্ছে৷ দল ছাড়ছেন একের পর এক নেতা৷ অর্জুনও সেই পথের পথিক হবেন কিনা, তা নিয়েই চড়ছে জল্পনার পারদ৷