আচমকাই ঝড়ের মুখোমুখি দিল্লি। প্রবল বৃষ্টি তার সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া। এর জেরে দিল্লি সংলগ্ন গুরুগ্রামে স্বাভাবিক জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। গুরুগ্রামে তীব্র যানজট দেখতে পাওয়া যায়। ঘটনা সামাল দিতে গুরুগ্রাম জেলা প্রশাসনের তরফে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তাঁদের কর্মচারীদের জন্য ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানী। দিল্লিতে প্রবল বৃষ্টিতে বাড়ি ভেঙে আট জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
করোনাকালে লকডাউনের সময় থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম হোম শুরু হয়। বিভিন্ন বেসরকারি ও অনেক ক্ষেত্রে সরকারি কর্মচারীরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম করেন। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসতেই বেসরকারি সংস্থাগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যায়। গুরুগ্রামের ডেপুটি কমিশনার নিশান্ত কুমার যাদব বলেছেন, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুপারিশ শুধুমাত্র একদিনের জন্য করা হয়েছে। তিনি জানান, দিল্লি ও গুরুগ্রামে যে সব বেসরকারি সংস্থা রয়েছে, তাদের বেশি সম্ভব কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। শিল্প ও কারখানায় কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারেন না। কিন্তু যাঁরা এই সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সেই সুবিধা দেওয়া উচিৎ। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, গুরুগ্রামে প্রবল ঝড় ও বৃষ্টির জেরে ট্রাফিকের ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে। সেই চাপ সামলাতে ২৫০০ জন অতিরিক্ত পুলিশকর্মী নিয়োগ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রাজধানী এলাকা ও গুরুগ্রাম এলাকায় ৯০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গিয়েছে। একাধিক জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার রবীন্দ্র কুমার তোমার জানিয়েছেন, তাঁদের একাধিক দল দিল্লি ও গুরুগ্রামের বিভিন্ন রাস্তা থেকে জল পাম্প করে সরাচ্ছে। উপড়ে পড়া গাছ পরিষ্কার করা হচ্ছে। একটানা বৃষ্টির জেরে জওয়ালপুরি, গোকালপুরি, শঙ্কারোডে একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিছু কিছু বাড়ির অংশ ভেঙে পড়েছে। যার জেরে ঘটনায় ৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জাওয়ালপুরিতে বাড়ি অংশ ভেঙে একই পরিবারে তিন জন অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের সঞ্জয় গান্ধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাছ উপড়ে পড়ে আটটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।