বৃথা গেল চিকিৎসকদের বিগত কয়েকদিনের সমস্ত প্রচেষ্টা । সব চেষ্টা ব্যর্থ করে অবশেষে আচমকাই না ফেরার দেশে চলে গেলেন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী৷ প্রয়াত হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ এসএসকেএম থেকে রবীন্দ্র সদনে পৌঁছল পঞ্চায়েত মন্ত্রীর নশ্বর দেহ৷ দুপুর ২টো পর্যন্ত এখানেই শায়িত রাখা হবে তাঁকে৷ সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণে আজ রাজ্য সরকারের সমস্ত দফতরে অর্ধনমিত থাকবে জাতীয় পতাকা। তবে তাঁর শেষ যাত্রায় থাকবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবারই এ কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সাহচর্য পেয়েছেন তিনি। মত বিরোধ হলেও তাঁর ফের একসঙ্গে দীর্ঘ পথ চলেছেন৷ ‘দাদা’ সুব্রতের প্রয়াণ মেনে নিতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী৷ তাঁর মন ভাল নেই। এই শোকেই শেষযাত্রায় থাকবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি। সুব্রতর প্রয়াণের খবর পেয়েই এসএসকেএম-এ গিয়েছিলেন মমতা৷ কিন্তি জানিয়ে দেন, ‘‘আমি সুব্রতদার মরদেহ দেখতে পারব না।’’
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু এবং সুজন চক্রবর্তী৷ শোক প্রকাশ করেছেন বিজেপি’র শমীক ভট্টাচার্যও৷ বিমান বলু বলেন, ‘‘কংগ্রেস ঘরানার অন্যতম সেরা নেতা। প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে তৃণমূলে থাকলেও, সকলের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন তিনি।’’ আবার সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের রসবোধের কথা উঠে এসেছে সুজনের গলায়। তিনি বলেন, ‘‘সুব্রত দা’র অসাধাণ রসবোধ ছিল৷ ’’
গত ২৪ অক্টোবর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ সেই সময় চিকিৎসকরা তাঁকে ভর্ত হওয়ার পরামর্শ দেন৷ এর পর তাঁর বুকে দুটি স্টেন্টও বসানো হয়৷ ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন তিনি৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই স্বাস্থ্যের অবনতি হয়৷ আক্রান্ত হন স্টেন্ট থ্রম্বোসিসে৷ তড়িঘড়ি আইসিসিইউ-তে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়েই এসএসকেএম-এ যান মুখ্যমন্ত্রী। রাত ৯টা ২২ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ৷