ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব এখনও কাটেনি। প্রভাব না কমলেও তবে ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হচ্ছে তার শক্তিশালী প্রভাব। যত সময় যাচ্ছে ততই শক্তি কমছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উপকূল অতিক্রম শেষ করে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টা বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বইবে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হবে এবং একইসঙ্গে জোয়ারের পানি ২ থেকে ৪ ফুট বেশি হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে পূর্ণিমার ভরা কোটালের জন্য জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে গঙ্গায়৷ অন্যদিকে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে বিহার-উত্তরপ্রদেশের দিকে সরবে সে। শক্তিক্ষয়ের পর বৃহস্পতিবার সকালে ঝাড়খন্ডে হাওয়ার গতিবেগ ৫৫ কিমি/ঘণ্টা।
রাজ্যের জেলাগুলিতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে৷ এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আগের মতোই তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্ক বার্তায় বলা হয়, ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় বায়ুচাপের আধিক্য বিরাজ করছে। এ জন্য খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও চট্টগ্রাম জেলায় এবং এর আশপাশের দ্বীপ ও চরগুলোতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে আজ সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে কলকাতায়৷ কলকাতার একাংশ জোয়ারের জলে ভাসার সম্ভাবনা রয়েছে৷ সে কারণেই লকগেট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা৷