তৎপরতার সঙ্গে কাজ চলছে আনিস মৃত্যু কাণ্ডে। ছাত্র নেতা আনিস খানের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল। ৮২ পাতার রিপোর্ট মুখ বন্ধ খামে জমা দিল সিট। হায়দ্রাবাদ সিএসএফএল রিপোর্ট এবং পেন ড্রাইভ রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ময়না তদন্তের রিপোর্ট এবং কলকাতা সিএসেফেল রিপোর্ট জমা করা হয়। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন আনিস খান রহস্য মৃত্যুর মামলায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, আনিসের বাবাকে হলফনামার মাধ্যমে ক্ষমা চাইতে হবে। ৮২ পাতার রিপোর্ট ফের সিল করে আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে একটি কপি দিতে হবে। এছাড়া রিপোর্টের গোপনীয়তা বজায় রাখবেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এদিকে, মামলার চার্জশিট প্রস্তুত রয়েছে।
পাশাপাশি পালিগ্রাফ টেস্ট করার আবেদন জানান রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল। আসলে আনিস হত্যাকাণ্ডে সোমবার আদালতে জমা পড়ার কথা ছিল সিটের রির্পোট। কিন্তু গতকাল আদালতেই আসেননি বিচারপতি। ফলে জমা পড়েনি সেই রিপোর্ট। তার প্রেক্ষিতেই গুরুতর প্রশ্ন তোলেন আনিসের বাবা। বলে বসেন, বিচারপতি শারীরিকভাবে অসুস্থ হলেন, নাকি মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেবার জন্য চাপ দেওয়া হল, তা তিনি জানেন না। এই মন্তব্যের জন্যই তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে।
যদিও মামলাকারির পক্ষের আইনজীবী শামীম আহমেদ জানান আবেগের বশে এই মন্তব্য করেছেন তিনি। বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, এই ঘটনার জন্য তিনি খুবই দুঃখিত। গ্রামের মানুষ, সৎ ভদ্র মানুষ হয়তো তিনি আবেগের বশে এই ধরণের মন্তব্য করেছেন।