শান্তিপূর্ণ ভাবে বিজয় মিছিলের কড়া নির্দেশ এলো

রাজ্যে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ভোটপর্বে হিংসার অভিযোগ উঠেছে। জায়গায় জায়গায় বুথ দখল, ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ছিল। সবেতেই আঙুল ছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। সেই নিয়ে নিশানা করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনকেও। কমিশনার সৌরভ দাসকে রাজভবনে পর্যন্ত তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তাই ভোট গণনার পর বিজয় মিছিল নিয়ে আগেভাগেই সতর্ক নির্বাচন কমিশন। কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিকে।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, বিজয় মিছিলে ছাড় রয়েছে ঠিকই, কিন্তু কোনও রকম অশান্তি বরদাস্ত করা যাবে না। যে কোনও জায়গায় অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা ঘটলে পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে কমিশনের তরফে। উল্লেখ্য, ভোট হওয়ার অনেক আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দিনহাটা, বজবজ, সিউড়ি, সাইথিয়া দখলে চলে গিয়েছে শাসক দলের। ১০৮ পুরসভায় মোট ওয়ার্ডের সংখ্যা ২ হাজার ২৭৭ টি। এর মধ্যে ১০৩টিতে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছে। আর বাকি যেগুলি রয়ে গেল তার মধ্যে ১৩ পুরসভায় এখনই এগিয়ে তৃণমূল। সব মিলিয়ে মোট প্রার্থী ৮ হাজার ১৬০ জন যাদের ভাগ্য নির্ধারিত হবে আজ। কমিশন সূত্রে খবর, সর্বনিম্ন ২ থেকে সর্বোচ্চ ১৮ রাউন্ড পর্যন্ত গণনা হবে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

গত রবিবার এই ভোট হয়েছিল যে ভোট নিয়ে বিরোধীদের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। তবে তাদের কোনও অভিযোগ পাত্তা দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশ সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছিল যে আপাত শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। তবে বিজেপি ভোটে হিংসার অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল।