করোনার তৃতীয় ঢেউকে রুখতে সব রকম ভাবে তৈরী হচ্ছে রাজ্যের হাসপাতালগুলো

সবে মাত্র করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠছে দেশ। এরইমাঝে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। আর এই তৃতীয় ঢেউয়ে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত সবে শিশুরা, এমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালে পরিকাঠামো বাড়ানোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা নিয়ে সতর্ক বেসরকারি হাসপাতালগুলিও। হাসপাতালের পরিকাঠামো বাড়ানো এবং কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ এর উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যে করোনা আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়লে বেড সংখ্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা রাখছে সব হাসপাতালই। অন্যদিকে শিশুদের চিকিৎসা পদ্ধতি বা পরিষেবার ক্ষেত্রে অনেক বেশি সংবেদনশীল ও সজাগ থাকার প্রয়োজন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় অগস্ট মাসের মধ্যে করোনা মোকাবিলার যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছে আমরি হাসপাতাল। মুকুন্দপুর এবং সল্টলেক আমরি হাসপাতালের একটি করে তল শিশু চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে ৩০টি বেড রয়েছে শিশু চিকিৎসায়। তৃতীয় ঢেউয় প্রসঙ্গে মেডিকা হাসপাতালের চেয়ারম্যান ও এমডি চিকিৎসক আলোক রায় জানান, ‘‘চিকিৎসক, নার্সদের প্রশিক্ষণ চলছে। এ ছাড়াও গুরুতর অসুস্থ শিশুদের জন্য ২৫টি ভেন্টিলেটর এবং ১৫টি বাইপ্যাপ ও কেনা হয়েছে।’’ শিশু চিকিৎসক অপূর্ব ঘোষ জানান শিশুদের কথা মাথায় রেখে ল্যাবরেটারি পরিকাঠামোয় নজর দিয়েছে পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ।

বড়দের থেকে শিশুদের বিভিন্ন শারীরিক মাত্রা আলাদা। ওষুধের ক্ষেত্রেও শিশুর ওজন অনুয়ায়ী রদবদল হয়। শিশু চিকিৎসকের পাশিপাশি নার্সদেরও ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। শিশু বিভাগ ছাড়াও হাসপাতালের অন্য বিভাগের নার্স এবং জুনিয়র চিকিৎসকদেরও যাতে প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় সে জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ চলছে বলে জানান ফর্টিস হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক সুমিতা সাহা।