রাজ্যের শাসক শিবিরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে চলছে জল্পনা

বছর প্রায় শেষের পথে, মাঝে বাকি আর কয়েকটা দিন। তারপরেই শুরু নতুন বছরের। নতুন বছরের সাথে সাথেই শুরু হবে নির্বাচন। এরই মাঝে রাজনীতির মঞ্চে চলছে একাধিক জল্পনা। একাধিক চর্চার কেন্দ্রে রয়েছে রাজ্যে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির ইস্যু। বছর যত এগিয়েছে ততই বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগে মারাত্মক ভাবে বিদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের তৎকালীন মহাসচিব তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে যেভাবে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়।

এই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাম জড়ানোয় তৃণমূল বাধ্য হয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পরেশ অধিকারীকে সরিয়ে দিতে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য-সহ এসএসসি’র একাধিক শীর্ষ কর্তা পর্যন্ত জেলে চলে গিয়েছেন এই অভিযোগে। অন্যদিকে গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে।

আর বছরের শেষ মাসের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের জন্য নাম তোলাকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় লাগামছাড়া দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি তৃণমূল একেবারেই স্বস্তিতে নেই ডিএ মামলা নিয়ে। সব মিলিয়ে ২০২২ সাল তৃণমূলের পক্ষে অনুকূলে ছিল না সেকথা বলাই যায়। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরে তৃণমূলকে পঞ্চায়েত ভোটে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে। তাই নতুন বছরে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলি সবার নজর কাড়ে এখন সেটাই দেখার।