গত সপ্তাহে হঠাৎই শোকের ছায়া নেমে আসে রাজনৈতিক মহলে৷ গত বৃহস্পতিবার আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়৷ শোকের ছায়া রাজ্যজুড়ে৷ তাঁকে ভুলতে পারছেন না সতীর্থরা৷ এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় স্মৃতিচারণ করে বলেন, মোবাইল ফোন বন্ধ করতে পারতেন না সুব্রত মুখোপাধ্যায়। মাঝে মধ্যেই ওঁর মোবাইল ফোন বেজে উঠত। ওঁর মৃত্যুতে এত বেশি আহত হয়েছি যে বলার কিছু নেই। বিধানসভায় একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উর্ধে উঠে সকলকে আপন করে নিয়ে মিশতেন। আর কোনও দিন বেজে উঠবে না ওঁর মোবাইল ফোন৷
এদিকে, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, একজন ভালো বন্ধুকে হারিয়েছি। ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতিতে প্রিয়-সুব্রত জুটির কথা বার বার উঠেছে। ওঁকে দেখেই অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। দীর্ঘ দিন একসঙ্গে লড়াই করেছি। কথা বলতে গিয়ে গলা ধরা আসে তাঁর৷ সুব্কতর মৃত্যুতে মন ভারাক্রান্ত শোভন দেবের। তিনি বলেন, সব সময় জীবনে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে গিয়েছেন। বলা হত, কংগ্রেস সিপিএমকে হারাতে পারবে না। একমাত্র প্রিয়-সুব্রত সিপিএম’কে হারাতে পারবে। মোহন বাগানের একনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন সুব্রত৷ খেলাধুলো থেকে রাজনীতি, একসঙ্গে এত স্মৃতি রয়েছে যা শেষ হবে না। বর্ণময় চরিত্রের মানুষ ছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। সিদ্ধার্থ শংকর রায় থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার সদস্য। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আবার বিজেপি’র পরিষদীয় নেতা মনোজ টিজ্ঞা বলেন, জন্ম নিলে মৃত্যু অনিবার্য। এটাই জগৎ সংসারের নিয়ম। পশ্চিমবঙ্গের তিন জনের জুটি প্রিয়- সৌমেন-সুব্রত। আমি ৫ বছর ওঁকে সামনে থেকে দেখার সুযোগ পেয়েছি৷ চা বাগানের বহু সমস্যার সমাধান করেছিলেন।