রাজ্যে জুড়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তেজনার মধ্যেই পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হল রাজবংশী যুবকের। এরপরই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ। অভিযোগ, কালিয়াগঞ্জ থানা এলাকার ভারত – বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাধিকাপুরের চাঁদগাঁও এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় বর্মন।
পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। সেইসময় বিষ্ণুবাবুকে না পেয়ে বাড়িতে তাঁর বৃদ্ধ বাবা – মাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন পুলিসকর্মীরা। বিষ্ণুবাবুর প্রতিবেশী তথা ভাইপো মৃত্যুঞ্জয় বর্মন পুলিসকে প্রশ্ন করতে শুরু করে। অভিযোগ, পুলিসের কাজে বাধা দেন। তখন পুলিসকে ঘিরে ধরে প্রতিরোধ তৈরি করে জনতা।
উত্তেজিত জনতাকে লক্ষ্য করে ২ রাউন্ড গুলি চালায় পুলিস। একটি গুলি লাগে মৃত্যুঞ্জয়বাবুর দেহে। তাঁকে দ্রুত কালিয়াগঞ্জ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাজবংশী যুবকের মৃত্যু ঘিরে বিরোধী দলনেতা লেখেন, ‘অত্যাচার ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শেষ পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে। নাগরিক অস্থিরতা মারাত্মক আকার নিয়েছে। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্রাট নিরোর মতো আনন্দে উৎসবে মেতে রয়েছেন।’