এক সময় সকাল হলেই সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করতেন এলাকার বাসিন্দারা। আজ সেখানেই গড়ে উঠেছে পার্ক, পিকনিক স্পট সহ শিশু উদ্যান। শুটকা বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি সহযোগিতা পেয়ে এভাবেই গড়ে উঠেছে অভিনব এক পিকনিক স্পট। কোচবিহার শহর লাগোয়া শালবাগান ছিল সাধারণ মানুষের পিকনিকের অন্যতম জায়গা।
কিন্তু এ বছর থেকেই বনদপ্তর একাধিক নির্দেশিকা জারি করেন শাল বাগানকে নিয়ে। এরফলেই কোচবিহারের সাধারণ মানুষ তাদের নতুন জায়গা খুঁজছেন পিকনিকের জন্য। এরইমধ্যে শুটকা বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় নদীর চরে তৈরি করেছেন শিশু উদ্যান,সাথে পিকনিক করার মত এক মনোরম পরিবেশ।
এই বিষয়ে শুটকা বাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা এখানে গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন ফান্ড সংগ্রহ করে এই জায়গাতে আমরা একটি পার্ক, শিশু উদ্যান সহ পিকনিক স্পর্ট তৈরি করতে পেরেছি তাতে এখানকার সাধারণ মানুষের অনেকেরই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। আমরা আশা করব বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই জায়গায় মানুষ আসবে তাতে এলাকার মানুষের আরো আরো উন্নয়ন ঘটাতে পারব।
শুটকাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত নির্মাণ সহায়ক যমুনা ঘোষ বলেন, মিশন নির্মল বাংলার পক্ষ থেকে এই জায়গার অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে আগামীতে আরো করা হবে। এখানকার জনপ্রতিনিধি এমন এক জায়গায় পার্ক শিশু উদ্যান এর চিন্তাভাবনা করেছেন। সেই কাজে আমি যুক্ত হতে পেয়ে নিজেকে খুব ভালো লাগছে। আমি সাধারন মানুষকে আবেদন করব আপনারা এখানে আসুন এখানে পিকনিক করার মতো সুন্দর জায়গা তৈরি হয়েছে আপনারা এখানে আনন্দ উপভোগ করুন।
এখানকার পঞ্চায়েত সমিতি মেম্বার রশিদুল হক বলেন, তিন বছর আগেই এখানকার জনপ্রতিনিধিরা তোরসা নদীর পারে এমন পরিতক্ত জায়গায় একটি পার্ক করার সিদ্ধান্ত নেন। আজ তার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে আমরাও এই পুরো এলাকায় প্রাচীর দেওয়ার জন্য ২৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি। আগামীতে আরো উন্নয়ন হবে।আমি সাধারণ মানুষকে আবেদন করব আপনারা এখানে আসুন আনন্দ উপভোগ করুন এখান থেকে দুই কিলোমিটার গেলেই রাজবাড়ী মদনমোহন বাড়ি দেখতে পাবেন।
নদীর চরের পরিত্যক্ত জায়গা এবং তাকে কেন্দ্র করে এক প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা আগামী দিনে কোচবিহার জেলায় সৃষ্টি করবে বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ। তার সাথে সাথে সাধারণ মানুষ মনে করেন আগামী দিনে প্রচুর ছেলেমেয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে এই পার্কটি কেন্দ্র করে। এমন এক চিন্তাধারাকে আরো একবার কুর্ণিশ জানায় কোচবিহার জেলার সাধারণ মানুষ।