দু মাসের বেশি সময় অতিক্রম করেও জুদ্ধ চলছে অবাধে গতিতে। ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাতের ৭৩তম দিনেও জারি রয়েছে রাশিয়ার আগ্রাসন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিশেষ সামরিক অভিযানের নামে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে, তারপর থেকে একের পর এক জোরালো হামলা চালানো হয়েছে ইউক্রেনে। সৌজন্যে পুতিন বাহিনী। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের পূর্ব ভাগের অধিকাংশ স্থানই দখল করেছে রুশ বাহিনী। এর মধ্যেই যুদ্ধের ৭৩ তম দিন অর্থাৎ পূর্ব ইউক্রেনের একটি স্কুলে সম্প্রতি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। এই হামলায় অন্ততপক্ষে ৬০ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ঘটনাটি সামনে এনেছেন ইউক্রেনের এক গভর্নর। এই হামলা প্রসঙ্গে গভর্নর নিজেই জানিয়েছেন যে, ওই হামলায় ৬০ জন সাধারন বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যারা রুশ বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। জানা যাচ্ছে এদিন সকালে পূর্ব ইউক্রেনের লুহাস্ক প্রবেশের বলোহারিবকা নামের একটি গ্রামের স্কুলে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
ইতিমধ্যেই লুহাস্ক প্রদেশের গভর্নর সেরহি গাদাই সাম্প্রতিক এই রাশিয়ান হামলার বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে রুশ বাহিনী ওই স্কুলটিকে টার্গেট করে সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। সেই সঙ্গে আরও জানা যাচ্ছে যে, দিন কয়েক আগে এই গ্রামটিকে নিজের দখলে আনে রুশ বাহিনী। তারপরেই গ্রামের বেশ কিছু সাধারণ, বেসামরিক নাগরিক ওই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছিল। লুহাস্ক প্রদেশের গভর্নর আরও জানিয়েছেন যে, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর স্কুলের পুরো বিল্ডিংয়েই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে। দীর্ঘ চার ঘণ্টা চেষ্টার সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল আধিকারিকরা। রুশ বাহিনী ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি খারকিভ এবং সাথে ওদেসাতেও ব্যাপক বোমাবাজি করেছে। শুধুমাত্র ওদেসাতেই ছটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে খারকিভে রুশ হামলায় তিনটি সেতু ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। একইভাবে মেটলিফেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।