কাজের চাপ, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার এবং একই সঙ্গে কর্ম-জীবনের ভারসাম্য বজায় রেখে বর্তমানের ব্যস্ত জীবনে সঠিকভাবে নিজের খেয়াল রাখা ভীষণ কঠিন, যা প্রয়াশই উদ্বেগ বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগের সৃষ্টি করতে পারে। ফলস্বরূপ, নিজেদের স্বাস্থ্যের সঠিক খেয়াল রাখার অভাবে প্রজন্ম অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া, ধূমপান, বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন করে যা ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। উচ্চ চাপ এবং দরিদ্র জীবনধারা হৃদরোগের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই পুষ্টি এবং সুস্থতা পরামর্শদাতা শীলা কৃষ্ণস্বামী পরামর্শ দিয়েয়েছেন মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনা করেত নিয়মিত ব্যায়াম এবং একটি সঠিক ডায়েট নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ যা একটি সুস্থ হার্ট বজায় রাখবে।
তিনি বিশেষ করে প্রতিদিনের ডায়েটে বাদাম, ওটস এবং রসুন এই তিনটি খাওয়ার যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন, এগুলি হার্টের সুস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাদামে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ই, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার, এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে খাদ্যে স্বাস্থ্যকর চর্বি সরবরাহ করে। ওটস ফাইবারে ভরপুর, এটি রক্তে কোলেস্টেরলের শোষণ করে “খারাপ” কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। রসুনে অ্যালিসিন রয়েছে, একটি যৌগ যা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে।
বিভিন্ন গবেষণা অনুযায়ী, রসুনের একটি কার্ডিওপ্রোটেক্টিভ প্রভাব রয়েছে, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে সমর্থন করে। তিনি জানিয়েছেন নিজের হার্টকে সুস্থ রাখতে প্রতিদিন কাজে যাওয়ার আগে বাদাম, ওটস এবং রসুন সকালের ব্রেকফাস্ট হিসেবে খেতেই পারেন, যা সুস্থ্যতা বজায় রাখার পাশাপাশি একটি হেলদি হ্যাবিটও তৈরি করবে।